বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা: ব্রিটিশদের শাসন-শোষণের নানা স্মৃতি নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশেরার নীলকরদের কুঠিবাড়ি। তবে সময়ের পরিবর্তনে সেটি এখন আখ বিক্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানা যায়, বাগাতিপাড়ার জলাকীর্ণ অসমতল জায়গা পরিষ্কার করে নীলচাষের উপযোগী করে ইংরেজরা এ অ লে কুঠিবাড়ীটি স্থাপন করে। আর এসব অ লের চাষিদের নীল চাষ করতে বাধ্য করেন তারা। কিন্তু কালের বিবর্তনে সে সময়ের স্থাপিত এই উপজেলার নীলকুঠিয়াল সাহেবদের অফিস-আদালত এবং নীল সংরক্ষণাগারসহ বহু স্থাপনা মাটির গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। কিছু কিছু স্থানে এই নীল কুঠি ও কলকুঠিগুলোর কিছু অংশ কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে। তারই অংশবিশেষ এই কুঠিবাড়ি।
আজও এসব এলাকায় রয়েছে নীলকর আদায়কারী সাহেবদের আনা সাঁওতাল-বাগদীসহ বিভিন্ন আদিবাসী শ্রমিক গোষ্ঠী। এসব নীলকর সাহেবরা এই এলাকায় জোরপূর্বক নীল চাষ করাত। ইংরেজদের কাছ থেকে ভারত ও পূর্ববাংলা ভাগাভাগীতে রেনুইক অ্যান্ড কোং পূর্ব বাংলা এবং ভারতের সব কুঠিগুলোর মধ্যে নওশেরা তথা পূর্ববাংলার সব সম্পদ রফিক অ্যান্ড কোং’র নামে হয়ে যায়। স্থানীয়দের মধ্যে জনশ্রুতি আছে, রফিক অ্যান্ড কোং তার দখলদারিত্ব পাওয়ার পর নাটোর চিনিকল স্থাপনের পরমুহূর্তেই রেনুইক কোং’র পক্ষ থেকে রফিক অ্যান্ড কোং বাংলাদেশ সুগার কর্পোরেশনকে নওশেরা কলকুঠি ও কুঠিয়ালদের সব সম্পত্তি দিয়েছেন। তার পর থেকে সেখানে আখের মৌসুমে নাটোর সুগার মিলের আখ ক্রয় কেন্দ্র হিসাবে সেটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আকাশজমিন/এসআর