আকাশজমিন ডেস্ক।। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে সর্বশেষ অন্তত আড়াই সহস্রাধিক মানুষের নিহতের খবর জানা গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা ১০ সহস্রাধিক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কারণ ভূমিকম্পের সময় বেশির ভাগ মানুষ ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এ কারণে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪-১৭ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) বলেছে, তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা থেকে সকালে প্রাথমিকভাবে অন্তত ২৮৪ জন নিহত হয়েছেন জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
আনাদোলু নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাহরামানমারাস, গাজিয়ানটেপ, সানলিউরফা, দিয়াবাকির, আদানা, আদিয়ামান, মালত্যা, ওসমানিয়ে, হাতায় ও কিলিসকে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে এএফএডি। প্রতিবেদনে বহু মানুষের আহত হওয়ার খবর উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে ভূমিকম্পে সিরিয়া সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এক বিবৃতিতে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা এবং টারতুস প্রদেশে অনেকে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৩৯ জন। ভূমিকম্পে দুই দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৫২১ জন নিহত হয়েছেন। তবে প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা ৬ শতাধিক। কারণ আহতের সংখ্যা অনেক।
ভূমিকম্পের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এক টুইটারে বলেছেন, ‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। ‘আশা করি খুব দ্রুত কম ক্ষতিসহ একসঙ্গে এই বিপর্যয় আমরা কাটিয়ে উঠব’ তিনি লিখেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লু জানিয়েছেন, অন্তত ছয়টি আফটারশক হয়েছে। ঝুঁকির কারণে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে বাসিন্দাদের প্রবেশ না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অগ্রাধিকার হলো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনা। একইসঙ্গে আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা। ’
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪-১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের গাজিয়ানটেপে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরতায় এটি আঘাত হানে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, রিপোর্ট আসছে যে বেশ কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে। ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ আটকে থাকতে পারে।
আকাশজমিন/এসএ