মৌলভীবাজার সংবাদদাতা : দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কুলাউড়ায় তিনটি রেলস্টেশন চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের কুলাউড়ার টিলাগাঁও, লংলা, ভাটেরা স্টেশনসহ দেশের বিভিন্ন সেকশনে বন্ধ থাকা ৪৮টি স্টেশন ফের পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী (ঢাকা) মো. সিরাজ জান্নাত স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে এ নির্দেশ দেয়া হয়। ওই পত্র সূত্রে জানা যায়, জনবল এবং অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে দেশের বিভিন্ন রেলপথে থাকা ৫৪টি স্টেশন আংশিক ও পূর্ণাঙ্গ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে গার্ড, স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের নতুন নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য যাত্রীদের সুবিধা ও ট্রেন পরিচালনার গুরুত্বের ভিত্তিতে বন্ধ থাকা ৪৮টি স্টেশন আবার চালুর সব ব্যবস্থা নিতে এক পত্রের মাধ্যমে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়।

পত্রে আরো বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে এসব স্টেশন চালুর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। জানা গেছে, সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের কুলাউড়ায় জনবলসংকট দেখিয়ে ২০০৯ সালে ভাটেরা ও টিলাগাঁও স্টেশনটি পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া লংলা রেলস্টেশনটিও লোকবল সংকটে গত এক দশক ধরে প্রায়ই ‘সাময়িক বন্ধ’ করে দেয়া হতো।

সর্বশেষ গত সাত মাস ধরে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে স্টেশনটি। এসব স্টেশনের লোকাল ট্রেনের যাত্রাবিরতির পাশপাশি এ রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ক্রসিং দেয়া হতো। এসব স্টেশন বন্ধ হওয়ার পর থেকে লোকাল ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও ট্রেনের ক্রসিং কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এতে প্রতিনিয়ত যাত্রা বিলম্বতে পড়তে হয় আন্তঃনগর ট্রেনগুলোকে। এ স্টেশনগুলোর মাধ্যমে চলাচলকারী উপজেলার রাউত্গাঁও, হাজীপুর, টিলাগাঁও, শরিফপুর, বরমচাল, ভাটেরার লক্ষাধিক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। লোকাল ও মেইল ট্রেনে তারা কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও সিলেটে যাতায়াত করত। একই সঙ্গে পণ্য পরিবহনে বাণিজ্যিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

এদিকে স্টেশনগুলো আবার চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার বিভিন্ন সময় ট্রেন আটকে আন্দোলন ও মানববন্ধন করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত থাকায় ভাটেরা ও টিলাগাঁও স্টেশনের ভবন জরাজীর্ণ ও ব্যবহূত মূল্যবান সরঞ্জামাদি চুরি এবং নষ্ট হচ্ছে।

আকাশজমিন/এসআর