আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা: আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন বরগুনা জেলা পরিষদের নির্মিত স্টল ভেঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ী অরবিন্দু বায় চৌধুরী স্বপন ভবন নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্টলের ব্যবসায়ীরা এমন অভিযোগ করেছেন। এতে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তিতে পরেছে স্টল ও আশে পাশের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। দ্রুত চলাচলের পথ খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
জানাগেছে, ২০১৫ সালে বরগুনা জেলা পরিষদের অর্থায়নে আমতলী উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন স্থানে স্টল নির্মাণ করা হয়। জেলা পরিষদ ওই স্টলগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য বরাদ্দ দেয়। নিয়ম ভেঙ্গে অরবিন্দু রায় চৌধুরী স্বপন একাই ওই স্টলের ৫ কক্ষের বরাদ্দ লুফে নেন। গত বছর জেলা পরিষদের অনুমতি ছাড়াই ওই স্টলের পশ্চিম পাশের দুইটি কক্ষের নকশা পরিবর্তন করে ভেঙ্গে ভবন নির্মাণ করেছে স্বপন। ওই ভবনে তিনি আমতলী ডায়াগনিস্টিক সেন্টার স্থাপন করেছেন এমন অভিযোগ স্টলের ব্যবসায়ীদের। বুধবার গভীর রাতে স্বপন হাসপাতালের গেট সংলগ্ন স্টলের পুর্ব পাশের চলাচলের পথ বন্ধ করে আবারো ঘর নির্মাণ করে। এতে ওই স্টলের ব্যবসায়ী ও আশে পাশের অন্তত ৫০ ব্যবসায়ী এবং সাধারণ চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের বিকল্প মহাসড়ক দিয়ে ঘুরে হাসপাতাল ও ফার্মেসিতে যেতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, হাসপাতাল সংলগ্ন জেলা পরিষদের ১২ টি স্টলের ৫ টিই অববিন্দু রায় চৌধুরী স্বপনের নামে বরাদ্দ। পাঁচটি স্টলের দুইটি ভেঙ্গে ডায়াগনিস্টিক সেন্টার নির্মাণ করেছেন। স্টলের দুই পাশের চলাচলের পথ বন্ধ রয়েছে।
আমতলী ডায়াহনিস্টিক সেন্টারের পরিচালক মোঃ জহিরুল হক লিটন বলেন, স্টলের দুইটি কক্ষ ভেঙ্গে একটি করে আমার কাছে ভাড়া দিয়েছে অরবিন্দু। এতে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষকে বিকল্প পথ ঘুরে ফার্মেসিতে আসতে হচ্ছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, অবরিন্দু স্টলের দুই পাশের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। দ্রুত চলাচলের পথ খুলে দেয়ার দাবী জানান তিনি।
ব্যবসায়ী আল আমিন খান, অলি উল্লাহ ও রাসেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, চলাচলে পথ বন্ধ করে দেয়ায় ৫০ জন ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। দ্রুত ভবন ভেঙ্গে চলাচলের পথ খুলে দেয়ার দাবী জানান তারা।
আমতলী কেমিস্ট এন্ড ড্রাগ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, অরবিন্দু রায় চৌধুরী স্বপন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারী স্থাপনা ভেঙ্গে ভবন করেছেন।
এ বিষয়ে অরবিন্দু বায় চৌধুরী স্বপন রাতে ঘর নির্মাণের কথা স্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি স্টল ভেঙ্গে ভবন নির্মাণ করিনি। তিনি আরো বলেন, আমি চলাচলের পথও বন্ধ করিনি।
বরগুনা জেলা পরিষদ প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী জালাল উদ্দিন বলেন, অনুমতি ছাড়া নকশা পরিবর্তন করে স্টল ভেঙ্গে ভবন নির্মাণ করা অন্যায় এবং চলাচলের পথতো বন্ধ করতেই পারে না। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গির কবির বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আকাশজমিন/এসআর