আকাশজমিন ডেস্ক: স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির মানসিক নির্যাতনের কথা ফেসবুকে উল্লেখ করে খবির হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জালকুড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আমিনুল হক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে চারজনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন- শাশুড়ি লতিকা (৫৫), স্ত্রী মুক্তি (৩২), রমজান (৪০) ও লুৎফর রহমান (৪০)। পুলিশ তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে।
নিহত খবির হোসেন (৪০) চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ওটারচরের আমিনুল হকের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে ইসমাঈল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
অভিযোগপত্রে তার বাবা উল্লেখ করেন, তার ছেলে খবির হোসেনের সঙ্গে ১৪ বছর আগে মুক্তির বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে মারিয়া (১২) ও মোস্তাহিদ (১০) নামে দুই সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রীসহ অন্যান্য আসামি খবির হোসেনকে তার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে শ্বশুরবাড়ির এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
তার ছেলে এ বিষয়ে কর্ণপাত না করায় বিবাদীরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে খবিরকে অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করেছে। খবির দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে বিবাদীদের এ অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছিল। কিন্তু দিন দিন তার ছেলের ওপর বিবাদীদের অত্যাচার ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।
পরে তার ছেলে বিষয়টি তার বাবাকে জানান। তারা বিবাদীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু উল্লিখিত বিবাদীরা তাদের কথার কোনো কর্ণপাত করেনি।
তার বাবা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তারা সংবাদ পান, তার ছেলে সিলিংফ্যানে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নিহতের বাবা আমিনুল হক বলেন, আত্মহত্যা করার আগের দিন আমার ছেলে ফেসবুকে তিনটি পোস্ট দেয়। ওই পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায় আমার ছেলে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আকাশজমিন/এসআর