পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দক্ষিণে এগারসিন্ধুর ইউনিয়নের অন্তগত এগারসিন্দুর গ্রাম। এগারসিন্দুর গ্রামটি ইতিহাসের স্মৃতি বিজড়িত একটি জায়গা। এখানে ঈসা খাঁর দুর্গ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু পুরনো স্থাপত্য। যার রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব।
এসব স্থাপনার মধ্যে অন্যতম একটি নিদর্শন হল শাহ মাহমুদ মসজিদ । তাই ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য কিশোরগঞ্জ তৈরি করে আলাদা এক আবেদন।
এই প্রাচীন মসজিদটি ১৬৮০ সালে নির্মিত হয়। মোঘল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত এই মসজিদটি দেখতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই মসজিদটি বণিক শেখ মাহমুদ নির্মাণ করেছিলেন। তিনি সেসময় এক ধনাঢ্য ব্যক্তি ছিলেন। তার নামেই এই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে।
চারপাশে নিচু দেয়াল ঘেরা একটি উঁচু প্লাটফর্মের ওপর এই মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে। চমৎকার স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটিতে মোঘল স্থাপত্যরীতি ও স্থানীয় শিল্পরীতির মেলবন্ধন দেখা যায়। এই মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট বর্গাকৃতির। এর প্রবেশপথে দোচালা পাকা ঘর দেখা যায়। একে বালাখানা বলা হয়। বালাখানার ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে প্লাস্টার করা মসজিদের প্রাঙ্গণ চোখে পড়ে। এই মসজিদের ভেতর ও বাহির সুলতানি আমলের চিত্রফলকে অলংকৃত করা আছে।
বর্গাকৃতির এই মসজিদটি এক গম্বুজবিশিষ্ট। এই মসজিদের চার কোনায় আছে চারটি আটকোনাকৃতির মিনার। কালের বিবর্তন ও যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে পাকুন্দিয়া উপজেলার অন্যতম এই মোগল স্থাপত্যের সৌন্দর্য অনেকাংশে নষ্ট হয়ে গেছে। মসজিদটি বর্তমানে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের অধীনে রয়েছে। সেখানে স্থানীয় মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ আদায় করে থাকে।
মসজিদের এর সামনে আছে বড় একটি পুকুর। পুকুরটিতে আছে শানবাঁধানো ঘাট। এছাড়া অজুর জন্য পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে একটি অজুখানাও করা হয়েছে এখানে।
আকাশজমিন/এসআর