আকাশজমিন ডেস্ক: মৃত্যুর আগেই নিজেই নিজের কবর তৈরি করছেন বরগুনার ডোম দুলাল। তার ইচ্ছে মৃত্যুর পর এখানেই যেন তাকে দাফন করা হয়। দুলাল ফকিরের এ কাণ্ড নিয়ে এর মধ্যেই আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে জেলাজুড়ে। দুলাল সদর বরগুনার ঢলুয়া ইউনিয়নের পোকটাখালী আবাসনে বসবাস করেন। তিনি দুলাল ফকির ও ডোম দুলাল নামে বেশি পরিচিত।
জানা যায়, ষাটোর্ধ বৃদ্ধ দুলাল ফকির প্রায় ৩৮ বছর ধরে ডোমের কাজ করছেন। এছাড়াও সাপে কাটা রোগীদের সুস্থ করতে ওঝার কাজ করেন তিনি। নয় ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢলুয়ার আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত দুটি ঘরে যৌথভাবে বসবাস করে আসছেন তিনি। ওখানেই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ১০ একর জমির এককোণে তিনি নির্মাণ করছেন নিজের কবর।
দুলাল ফকির বলেন, বরগুনা জেলা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলোনিতে ৩৮ বছর যাবৎ ডোমের কাজ করেছি। এখন আমার ছেলেরা ডোমের কাজ করে। আমি সারাজীবন ডোমের কাজ করেই নিজের ও পরিবারের ভরণ পোষণ করেছি। শেষ বয়সে কারো বোঝা হতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, মৃত্যুর পর আমাকে এই কবরেই যেন দাফন করা হয়। জীবিত থাকা অবস্থায় তাই নিজেই নিজের কবর নির্মাণ করে জায়গা নির্ধারণ করে রাখছি।
স্থানীয় গণকবর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু হানিফ বলেন, মৃত্যুকে স্মরণ করা, কবরের জায়গা নির্ধারণ করা, কবরের নির্ধারিত জায়গা উঁচু করা ইসলামে এ বিষয়গুলো ভালো এবং জায়েজ আছে। কিন্তু নিজেই নিজের কবর খোঁড়া, কাফনের কাপড় কিনে ঘরে রাখা এগুলো এক প্রকার বাড়াবাড়ি।
আকাশজমিন/এসআর