সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন

প্রাচ্যনাটের ২৬ বছরে পা।। থাকছে নানা আয়োজন

আকাশজমিন রিপোর্ট:
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১:৩৫ pm

আকাশজমিন প্রতিবেদক।। ২৫ বছর পেরিয়ে ২৬ বছরে পা দিলো প্রাচ্যনাট এ উপলক্ষে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর নাটক সরণির মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে ‘আগুনযাত্রা’ নাটকের মঞ্চায়ন হবে। নাটকশুরু হওয়ার আগে রয়েছে থিয়েট্রিক্যাল পারফরম্যান্স এবং প্রাচ্যনাটের সকল নাটকের পোস্টার প্রদর্শনী।

‘আগুনযাত্রা’ প্রাচ্যনাটের ৪১তম প্রযোজনা। ভারতের নাট্যকার মহেশ দাত্তানির লেখা ‘সেভেন স্টেপ এরাউন্ড দ্য ফায়ার’ থেকে অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন শা‌হেদ আলী, কাজী তৌ‌ফিকুল ইসলাম ইমন, চেতনা রহমান ভাষা, শার‌মিন আক্তার শর্মী, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, মো: আব্দুর র‌হিম খান, র‌কি খান, তান‌জি কুন, মো. শ‌ওকত হো‌সেন, ডায়ানা ম্যার‌লিন, ফয়সাল সাদী, আহ‌মেদ সাকি, এ কে এম ইতমাম, তমাল, রানা না‌ভেদ, উচ্ছাস তালুকদার। মঞ্চ ও আ‌লো পরিকল্পনা করেছেন মোঃ সাইফুল ইসলাম। সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন রাহুল আনন্দ। কো‌রিওগ্রা‌ফি করেছেন স্নাতা শাহ‌রিন। প্রপস পরিকল্পনা করেছেন তান‌জি কুন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আফসান আ‌নোয়ার। ভিডিও নির্মাণ ও প্রক্ষেপণে রয়েছেন শাহরিয়ার শাওন ও রিপন কুমার দাস ধ্রুব।

‘আগুনযাত্রা’ নাটকের কাহিনিতে তুলে ধরা হয়েছে উমার গবেষণার বিষয় হিজড়া বা রূপান্তরকামী মানুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গ। এই গবেষণার সূত্র ধরে সে কমলার হিজরার হত্যাকান্ডের সূত্র খুঁজে পায়। কমলাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং এই হত্যাকান্ডের জন্য আনারকলি নামে আরেক হিজড়া হাজতবাস করছে। উমার স্বামী জেল পুলিশে উধ্বর্তন কর্মকর্তা, সেই সুবাদে আনারকলির সাথে সাক্ষাত করা সহজ হয় উমার এবং আরো কিছু সুত্র খুঁজে খুঁজে সে হিজড়াদের ডেরায় প্রবেশ করে। উমার এই গবেষণা শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সে জড়িয়ে পরে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে মায়া আর দায়িত্বের বন্ধনে। উমার হারিয়ে যাওয়া এক ভাই বা বোন তৃতীয় লিঙ্গের। উমা যেনো তাকেও খুঁজে ফেরে। ঘটনান সত্যতা উদঘাটন করতে গিয়ে উমা অনেক অজানা অচেনা জগত আবিষ্কার করে-সেই সাথে কমলার হত্যাকান্ডের রহস্যও উদঘাটিত হয়। লিঙ্গ পরিচয় আড়াল করে কমলাকে কোনো এক মন্দিরে পুরোহিতের অজ্ঞাতে মন্ত্রীপুত্র সুব্বু বিয়ে করে। সুব্বুর এই বিয়ের খবর মন্ত্রীর কাছে পৌঁছালে তার আভিজাত্যে আঘাত প্রাপ্ত হয়। দেহরক্ষী সালিমের মাধ্যমে কমলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করে সুব্বু-কে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুপাত্রীর সাথে আবার বিয়ের বন্দোবস্ত করে। বিয়ের লগ্ন শেষ হতেই সুব্বু কমলা হত্যার ঘটনা জানতে পারে এবং নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

আকাশজমিন/এসএ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
আর্কাইভ
© All rights reserved © Akashjomin

Developer Design Host BD