আকাশজমিন ডেস্কঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা এখন শুধু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পাবেন।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বধীন আপিল বিভাগের আট বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় দেন। এতে আসামিদের দণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যার্টনি জেনারেল।
রায় ঘোষণার সময় সর্বোচ্চ আদালতে অধ্যাপক তাহেরের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ এবং আইনজীবী কন্যা শেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে রিভিউ শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ, সাথে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও অবন্তী নুরুল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের লাশ। ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ।
এ হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দু’জনকে খালাস দেন।
দণ্ডিতরা হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের সমন্ধি আব্দুস সালাম।
আকাশজমিন /এসআর