আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ‘রাষ্ট্রীয় সফরে’ ওয়াশিংটন যাওয়ার যে পরিকল্পনা করেছেন সে বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে চীন। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাই’র যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং সেখানে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তার সাক্ষাতের খবরে বেইজিং ‘ঘোরতর উদ্বেগ’ প্রকাশ করছে।
চীনের এই মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিধিসম্মত উপায়ে এ বিষয়টি আমেরিকাকে জানিয়েছি এবং তাদেরকে বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলেছি।” তিনি আরো বলেন, “তাইওয়ানের কথিত স্বাধীনতার দাবিতে যারা বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে তারাই তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকিগ্রস্ত করছে।”
এর দু’দিন আগে ফিনান্সিয়াল টাইমস প্রথম এই মর্মে খবর প্রকাশ করে যে, মার্কিন আইন প্রণেতা ম্যাকার্থি তাইওয়ান সফরে গিয়ে সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাতের যে পরিকল্পনা করেছিলেন তাতে পরিবর্তন এসেছে। এখন তিনি নিজ অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ায় সাই’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। চীনের ক্ষোভ থেকে বাঁচতেই মূলত ম্যাকার্থি তাইপে সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দেন বলে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানায়।আগামী মাসেই সাইর যুক্তরাষ্ট্র সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ওই খবরে জানানো হয়।
সাই’সহ তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টরা তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন। এক বা দু’দিনের ওইসব সফরের সময় মার্কিন কর্মকর্তারা সাধারণত তাইওয়ানের নেতাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সাক্ষাৎ করেননি। তবে এবার সে প্রথা ভেঙে কেভিন ম্যাকার্থি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ওয়াশিংটন ও তাইপের মধ্যে যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা লেনদেন বেইজিং-এর দৃষ্টিতে অবৈধ। তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করার ব্যাপারে চীনের দৃঢ় প্রত্যয়কে যেন কেউ খাটো করে না দেখে।এর আগে গত বছরের আগস্টে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আনুষ্ঠানিক সফরে তাইপে গিয়েছিলেন। চীন ওই সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছিল এবং ওই সফরের ফলে চীন ও আমেরিকার মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল।