আন্তর্জাতিক ডেস্ক:প্রাচীন গ্রিসে উপনিবেশ স্থাপন করে বিভিন্ন দেশ তাদের মূল্যবান অনেক ভাস্কর্য, মূর্তি, রত্ন নিয়ে স্থান দিয়েছে নিজ দেশের জাদুঘরে। শুধু গ্রিস নয়, পৃথিবীর আরও অনেক উপনিবেশ স্থাপনকারী দেশ একই কাজ করেছে। প্রায় ২০০ বছর ধরে ভ্যাটিকান সিটির জাদুঘরে স্থায়ী সংগ্রহ হিসেবে থাকা তিনটি মূর্তি আবারও গ্রিসকে ফেরত দিতে একটি চুক্তি সই করেছে ভ্যাটিকান সিটি।
চুক্তি অনুযায়ী চলতি মাসের শেষের দিকে মূর্তিগুলো ফেরত দেবে পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশটি। ভ্যাটিকান সিটির কর্তৃপক্ষ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
আড়াই হাজার বছর আগের এই মূর্তিগুলো গ্রিসের এথেন্সে অবস্থিত পার্থেনোন মন্দিরের। মূর্তি তিনটির একটিতে ঘোড়ার মাথা, একটিতে দাড়িওয়ালা এক পুরুষের মাথা এবং একটিতে এক বালকের মাথা দেখা যায়।এর আগে অ্যাথেন্সের আর্কবিশপের সঙ্গে ভ্যাটিকান পোপ ফ্রান্সিসের আলোচনার পর গ্রিসকে এই মূর্তিগুলো ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ভ্যাটিকান। অ্যাথেন্সের আর্কবিশপ দ্বিতীয় লেরোনিমোসের পক্ষে পাপামিক্রোলিস ইমানুয়েল চুক্তিতে সইয়ের পর বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।’ পোপ ফ্রান্সিসের এইপদক্ষেপকে অন্যদের জন্যও অনুকরনীয় হিসেবে দেখছেন তিনি।তবে এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব একটা আনন্দের কিছু নয়। এথেন্সের পার্থেনোন মন্দির থেকে সংগৃহীত মূল্যবান মার্বেল পাথর শতাব্দীর পর শতাব্দী নিজেদের অধিকারে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বহুদিন যাবত মার্বেল পাথরগুলোকে নিজেদের বলে দাবী করে আসছে গ্রিস। ভ্যাটিকানের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে অনেকে। এর আগে ইয়েমেন থেকে নিয়ে যাওয়া ৭৭টি শিল্পকর্ম তাদের ফেরত দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইউ/কি