আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে গতকাল (শুক্রবার) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে যে চুক্তি হয়েছে তাকে বিশ্বের বহু দেশ স্বাগত জানিয়েছে। চুক্তি সইয়ের পর তা আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে এই চুক্তির ব্যাপারে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া আসছে।
বেইজিংয়ে এই চুক্তিতে সই করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি এবং সৌদি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মুসাইদ আল-আইবান।
চুক্তি সইয়ের পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান টুইটারে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন, দুই দেশের এই চুক্তিতে মধ্যপ্রাচ্য এবং মুসলিম বিশ্ব বিশেষ সক্ষমতার অধিকারী হবে। এই চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য তিনি শিগগিরই সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয়ে ইরান আরো নানামুখী পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।
চুক্তি সইয়ের পর সৌদি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন। সৌদি আরব প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আইবান বলেন, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সৌদি আরব সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত এবং সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসন করতে তৈরি রয়েছে।
চীন এই চুক্তিকে সংলাপের বিজয় বলে উল্লেখ করেছে। চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, এটি শান্তির জন্য বিজয় এবং বিশ্ব যখন টালমাটাল অবস্থায় তখন এটি একটি সুখবর। এ ধরনের ঘটনাবলীতে চীনের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। ওয়াং ই বলেন, বিশ্ব শুধু ইউক্রেনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই।
লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, এই চুক্তি থেকে মধ্যপ্রাচ্য লাভবান হবে। এছাড়া, ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মুখপাত্র মোহাম্মাদ আব্দুস সালাম বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা খুবই জরুরী। ইরান ও সৌদি আরবের এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে- ওমান, কাতার, ইরাকসহ আরো অনেক দেশ।
আর/জে