আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য প্ররোচনামূলক বক্তৃতা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তান হাইকোর্ট (বিএইচসি) এই স্থগিতাদেশ দেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে কোয়েটা নগর এবং দায়রা আদালতের বিচারক বৃহস্পতিবার ওই পরোয়ানা জারি করেছিলেন।
গ্রেফতারের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন ইমরান খান। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পিটিআই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করতে কোয়েটা পুলিশের একটি দল লাহোরে এসছে। এর মধ্যেই এমন স্থগিতাদেশ এলো। এক র্যালিতে ইমরান খান ইসলামাবাদের পুলিশ প্রধান এবং এক নারী বিচারকের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন ও হুমকি দেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এদিকে সম্প্রতি পাকিস্তানের টিভি চ্যানেলগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য বা মন্তব্য প্রচার ও পুনঃপ্রচার নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ পিইএমআরএ।
এক বিবৃতিতে পিইএমআরএ বলেছে, ইমরান খান রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালীন বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার বেআইনি ভাবে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। গত অক্টোবরে পাক পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করে দেশেটির নির্বাচন কমিশন। সূত্র: ডন ও এনডিটিভি। আর/জে