সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন

ভরি ভরি সোনা ও টাকার পাহাড় লালু প্রসাদের ছেলে-মেয়ের বাড়িতে!

আকাশজমিন রিপোর্ট:
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ৯:৪৬ pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

কুখ্যাত রেল কেলেঙ্কারির নায়ক, ভারতের ডাকসাইটের নেতা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলেমেয়েদের বাড়িতে ‘টাকার পাহাড়’র সন্ধান পেলেন দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে উদ্ধার করেছে কেজি কেজি সোনা।

শনিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, সবমিলিয়ে অন্তত এক কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। এএনআই, এনডিটিভি।

বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও আরজেডি পার্টির নেতা লালুর ছেলে, রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং তিন মেয়ে রাগিনী, চন্দা ও হেমার একাধিক বাড়িতে শুক্রবার রাত ১১টার পর এ তল্লাশি চালায় ইডি।

প্রসঙ্গত, লালু প্রসাদ যাদব ৭ কন্যার জনক। লালুর ছেলে এবং মেয়েদের বাড়ি থেকে ৭০ লাখ নগদ টাকা (রুপি), দেড় কিলোগ্রাম সোনার গয়না, ৫৪০ গ্রামের সোনার বাট এবং ৯০০ ডলার (প্রায় ৭৩, ৮১৬ রুপি) উদ্ধার করা হয়েছে। তেজস্বীর দিল্লির বাড়ির পাশাপাশি এদিন পাটনা, মুম্বাই, রাঁচিতে লালু পরিবারের একাধিক সদস্য এবং পরিজনদের মোট ২৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালায় ইডি। পরদিন শনিবারই ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় তেজস্বী যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ-ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও।

গত ২২ অক্টোবর রেলে ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদ, রাবড়ি এবং তাদের দুই কন্যা মিসা ভারতি এবং হেমা যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল সিবিআই। ওই চার্জশিটে লালু-ঘনিষ্ঠ আরও ১২ জনের নাম রয়েছে। যদিও আরজেডি, কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদি সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করে লালুর পরিবারকে হেনস্তা করছে। গত বছরের ১৮ মে এই বিষয়ে থানায় এফআইআর করা হয়েছিল।

লালু প্রসাদ যাদব যখন ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন জমির বিনিময়ে গ্রুপ-ডি পদের ‘সাবস্টিটিউট’ হিসাবে বেশ কয়েকজনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। পরে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সিবিআই-এর তরফে নয়া মামলা করা হয়েছে লালু, রাবড়ি দেবী, লালুর দুই কন্যা এবং আরও ১২ জনের নামে।

এরপর ২২ অক্টোবর এই দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদ যাদব ও রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। লালু ও রাবড়ি ছাড়াও ১২ জনের নাম ছিল চার্জশিটে। যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে যাদব পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
আর্কাইভ
© All rights reserved © Akashjomin

Developer Design Host BD