অনলাইন রিপোর্টার
চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নবম সভা বসবে আজ রবিবার। এর আগে সর্বশেষ একনেক সভা হয়েছিল চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি। রীতি অনুযায়ী একনেক সভা হয় মঙ্গলবার। একনেকে অনুমোদনের জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের আটটি প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। যার বেশিরভাগ বৈদেশিক অর্থায়ন। একনেক সভার জন্য কার্যপত্র তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১২ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজকের একনেক সভায় যেসব প্রকল্প উপস্থাপন করা হবে তারমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি, বিদ্যুৎ বিভাগের একটি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের, পরিকল্পনা বিভাগের একটি এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের একটি প্রকল্প রয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘রেজিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফর অ্যাডাপশন অ্যান্ড ভালনারাবিলিটি রিডাকসন প্রজেক্ট (রিভার)’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩২৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সরকারি এবং বিশ^ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। সরকারি খাতে ৪৮ কোটি ৪৭ লাখ এবং বিশ্বব্যাংক দেবে ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।
প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে চলতি বছরে শুরু হয়ে ২০২৮ সালের জুনে শেষ হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, নদীতীরবাসী ও আকস্মিক বন্যা কবলিত এলাকার জনগোষ্ঠীর বন্যার ঝুঁকি কমানো এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সাড়া প্রদানে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। ৪টি বিভাগের ১৪টি জেলার ৭৮টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একটি প্রকল্প নিয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৭২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যার বেশিরভাগ বৈদেশিক ঋণ। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা এই প্রকল্পে ঋণ দেবে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। বাকিটা বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন। প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা। তবে এই প্রকল্পের বিভিন্ন নির্মাণ খাতে অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। টয়লেট নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে অন্য সংস্থার তুলনায় অতিরিক্ত খরচ ধরা হয়েছে এই প্রকল্পে।
আকাশজমিন/আরজে