আকাশজমিন ডেস্ক ।। নতুন দায়িত্ব পেলেন টলিউড অভিনেতা ও সংসদ সদস্য (দীপক অধিকারী) দেব। বুধবার পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দপ্তরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব দেবের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার রাজ্য সরকারের সচিবালয় ‘নবান্ন’এ অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকের শেষ লগ্নে আচমকাই এই প্রস্তাব রাখেন মমতা। প্রস্তাবে ঘাড় নেরে সমর্থন জানান দেব। যদিও মমতা জানান, বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানও আপাতত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবেই থাকছেন।
২০২০ সালে বলিউড তারকা শাহরুখ খানকে পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সরকারিভাবে এই মুহূর্তে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। তবে দেব যে শাহরুখের জায়গা আসছেন বিষয়টি তেমন নয়। বরং শাহরুখের পাশাপাশি দেবকেও দেখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনিতে শাহরুখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আছেন। কিন্তু শাহরুখ তো খুব ব্যস্ত। তাই তুমি পর্যটনের অ্যাম্বাসেডর হয়ে যাও।’ মমতারই প্রস্তাবে প্রথমে অবাক হয়ে যান দেব। এদিক-ওদিক তাকাতে থাকেন তিনি। দেব জানতে চান ‘আমি’? বাংলার পর্যটন কেন্দ্রিক ভিডিও বা বিজ্ঞাপন বানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষকে। দেবের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘তুমি আরও দু’তিনজনকে নিয়ে নিও। আমাদের শাহরুখ খান আছেন কিন্তু শাহরুখ ব্যস্ত লোক। ও বেচারা সময় দিতে পারে না। ও একটা ভিডিও তৈরি করে দিয়েছিল।
‘এসময় দেবকে সামনে রেখে পর্যটন নিয়ে একটি ভিডিও তৈরির কথাও বলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গৌতম দা (পরিচালক গৌতম ঘোষ) ভালো করে একটা ভিডিও বানিয়ে দিক। সেই ভিডিওটা দেবসহ দু তিনজন মিলে করুক।’ এই বৈঠকে শুধু পর্যটন শিল্প নয়, সিনেমা শিল্পের অগ্রগতির কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার কথায়, বাংলায় সিনেমা শিল্পে বিনিয়োগ বাড়লে পর্যটনও বাড়বে।এই বৈঠক থেকে আরেকটি বড় ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার (ডব্লিউটিও) কলকাতায় আসছে। কলকাতায় তাদের অফিস খুলছে। ৩৫ লাখ বর্গফুট জায়গা নিয়ে তাদের অফিস হবে। আমাদের জমি প্রস্তুত আছে। তারা এখানে দেড় হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করছে। ডব্লিউটিও তৈরি হলে এখানে ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’
মমতা জানান, আগামী ২১ তারিখ ডব্লিউটিওর এক প্রতিনিধি দল আসবে রাজ্যে। ওই দিন রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হবে। ওই অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকটি বণিক সভাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে উপস্থিত থাকার জন্য। এর ফলে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে তো বটেই এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের পথ খুলে যাবে।
আকাশ জমিন/আরজে