নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এক বছর পর আদালতের নির্দেশে ফের গণনা করা হয় ভোট। এতে দেখা যায় পূর্বের ফলাফলে পরাজিত হিসেবে ঘোষিত প্রার্থী বেশি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। এক বছর পর আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকৃত বিজয়ীর নাম উল্লেখ করে গেজেট প্রকাশ করতে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ১১নং খারুয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ময়মনসিংহ নির্বাচন ট্রাইবুন্যালের বিচারক সিনিয়র জজ ওয়াহিদুজ্জামান প্রকৃত বিজয়ী হিসেবে মো.আব্দুল কদ্দুস মুন্সির নাম উল্লেখ করে ৩০ দিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশ ও শপথের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে।
জানা যায়, ৫ম ধাপে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৩ জন প্রার্থী। নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৯৮৭ ভোট পেয়ে মো. মিলন মিয়া নির্বাচিত হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জানুয়ারী ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে পরাজিত প্রার্থী মোরগ প্রতীকের মো.আব্দুল কদ্দুস মুন্সি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে করে। বিষয়টি আলোচনায় আসলে ২৭ ফেব্রুয়ারী ভোট পূণঃগণনা ও তলবের জন্য ময়মনসিংহ নির্বাচন ট্রাইবুন্যালে মামলা দায়ের করেন। পরে ময়মনসিংহ নির্বাচন ট্রাইবুন্যাল চলতি বছরের ৭ই ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রার্থীদের উপস্থিতিতে ভোট গণনা করেন। এতে ব্যালট পেপারে গড়মিল পাওয়া যায়। রেজাল্ট শিটে ৩ প্রার্থীর মোট প্রাপ্ত ভোট ২৪৯৩ হলেও পূণঃগণনায় তা দাঁড়ায় ২২৯৮-এ।
নির্বাচনের দিন ঘোষিত ফলাফলে প্রার্থী মো. মিলন মিয়া (টিউবওয়েল) ৯৮৭ ভোট পেয়ে ৭ ভোটে জয়ী হন। কিন্তু পূণঃগণনায় ৮২৮ ভোট পেয়ে ১৬ ভোটে পরাজিত হন ।
এদিকে পরাজিত প্রার্থী মো. আব্দুল কদ্দুস মুন্সি (মোরগ) রেজাল্ট শিটে ৯৮০ ভোট পেয়ে ৭ ভোটে পরাজিত হলেও আদালতের ভোট গণনায় পেয়েছেন ৮৪৪টি। যার ফলে তিনি ১৬ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হন।
এ বিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী মো. আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি জানান, সত্যের জয় হবেই হবে। নির্বাচনের দিন থেকেই আমি এবং আমার সমর্থকরা দাবি করে আসছিল আমার জয় হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে আদালত থেকে আমার পক্ষেই রায় এসেছে।
এদিকে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মিলন মিয়ার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আকাশজমিন/এসআর