আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে ‘আইনত মূল্যহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। শুক্রবার পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘রাশিয়া রোম সংবিধির আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কোনো সদস্য নয় এবং এর নির্দেশ মানার জন্য বাধ্য নয়। রাশিয়া এ আদালতকে কোনো সহযোগিতা করে না। আন্তর্জাতিক আদালত থেকে আসা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইনগতভাবে আমাদের কাছে ‘টয়লেট পেপার’-এর মতো মূল্যহীন।’
এর আগে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আইসিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, জোরপূর্বক ইউক্রনের নাগরিকদের (শিশুদের) নিয়ে যাওয়া এবং রাশিয়ার নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের অঞ্চলগুলো থেকে জোরপূর্বক নাগরিকদের (শিশুদের) রাশিয়ার নিয়ে যাওয়ার মতো যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে পুতিনের বিরুদ্ধে। উপরেল্লিখিত অপরাধের সঙ্গে পুতিনের সংশ্লিষ্টতা থাকার বিষয়টি বিশ্বাস করার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বিষয়ে যুদ্ধাপরাদের অভিযোগ তুলেছে আইসিসি। এর মধ্যে রয়েছে বেআইনিভাবে ইউক্রেন থেকে শিশুদের রাশিয়ায় নির্বাসন। একই অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দপ্তরের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সেভনা লোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা করার পর থেকেই দেশটিতে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করার অভিযোগ ওঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই প্রত্যাখ্যান করেছে মস্কো।
পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল আন্দ্রি কোস্টিন আইসিসির প্রশংসা করে বলেছেন, ‘বিশ্ব একটি সংকেত পেয়েছে— রাশিয়া হলো একটি অপরাধী দেশ ও এর নেতারা এবং তাদের সহায়তাকারীদের তাদের সংঘটিত অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করা হবে। এটি ইউক্রেন এবং আন্তর্জাতিক আইনের জন্য একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। আকাশ জমিন / আরজে