আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ চালানোর দায়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসি যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তার ভিত্তিতে পুতিনকে গ্রেফতার করা যাবে কিনা তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের মতো অপরাধের বিচার করতে আইসিসি গঠন করা হয়েছিল। বিশ্বের ১২৩টি দেশ এই আদালত গঠন সংক্রান্ত চুক্তিতে সই করলেও রাশিয়াসহ বহু দেশ এতে স্বাক্ষর করেনি। অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি বা পক্ষকে যখন একটি দেশের কর্তৃপক্ষ বিচারের আওতায় আনতে পারে না অথবা আনতে চায় না, তখন পশ্চিমা দেশগুলোর অনুমোদনক্রমে হস্তক্ষেপ করে আইসিসি। তবে আইসিসির হাতে বিচারিক ক্ষমতা থাকলেও কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার মতো ক্ষমতা বা বাহিনী এই আদালতের নেই। পশ্চিমা দেশগুলো সহযোগিতা করলেই কেবল আইসিসি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে তাকে হল্যান্ডের দ্য হেগ শহরে এই আদালতে বিচারের জন্য হাজির করতে পারে।
কিন্তু আইসিসি তার বিচারিক ক্ষমতা শুধুমাত্র সেসব দেশে প্রয়োগ করতে পারে, যে দেশগুলো এই আদালত গঠন করার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। চুক্তিটি রোম সংবিধি নামে পরিচিত। রাশিয়া এই সংবিধিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই পুতিনকে গ্রেফতার করে এই আদালতের হাতে সমর্পণের কোনো সুযোগ আপাতত নেই। একই সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সিয়েভনা এলভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও যে গ্রেফতারি পরোয়ানা আইসিসি জারি করেছে তা কার্যকর করার এখতিয়ারও এই আদালতের নেই।
আকাশ জমিন / আরজে