মাদারীপুর প্রতিনিধি
‘চলতে চলতে দেখলাম হঠাৎ গাড়ি বামে মোড় নিছে। লোকজন চিৎকার শুরু করে। এরপর গাড়ি উল্টে গেলো। এরপর আমার আর মনে নাই। বাসটা যে কতবার উল্টাইছে নিজেও বলতে পারি না। এরপর বাস খাদে পড়ে যায়।’ এভাবেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন মহারাজ খাঁ (৩০)।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৯ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে।
আজ সকালে পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে বাসটি নিচে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খুলনা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন মহারাজ। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী হালিমা আক্তার। খুলনা থেকে রবিবার (১৯ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে ছেড়ে আসে বাসটি।
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। মহারাজের সামনের সিটে ছিলেন আনোয়ারা। ছেলে সাজ্জাদকে নিয়ে আনোয়ারা বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে আসছিলেন। ভোর ৬টার দিকে মোল্লারহাট থেকে বাসে ওঠেন তিনি। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কীভাবে কী হলো বলতে পারছি না। মুহূর্তেই বাস খাদে পড়ে যায়।’ খুলনা থেকে আবিদ শেখ যাচ্ছিলেন মুন্সীগঞ্জ। তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুরে জনতা ব্যাংকে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘খুলনা থেকে ভোরে আমি বাসে উঠি। শিবচরে বাস উল্টে যাওয়ার পর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরে দেখি স্থানীয় এক ভাই আমার পাশে।’
আকাশজমিন/আরজে