আকাশজমিন ডেস্ক: এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িটি বেশ দ্রুতগতিতে চলছিল। হঠাৎ কি যে হলো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মনে হলো মাথায় আসমান ভেঙে পরতাছে। শুধু ছেলেকে বুকে জড়িয়ে রেখে আল্লাহে ডাকছিলাম। মুহূর্তের মধ্যেই সব ঘটে গেল। এ সময় বার বার আল্লাহকে ডাকছিলাম।
এভাবে কাঁপা কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে নতুন জীবন পাওয়া ইমাদ পরিবহনের যাত্রী ২৫ বছরের আনোয়ারা বেগম।
আনোয়ারা বেগম এবং তার শিশু সাজ্জাদকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধারের পর অনেকটা ঘোরের মধ্যে ছিলেন আনোয়ারা। কিছুক্ষণ পর ঘটনার ভয়াবহতা দেখে আঁতকে উঠলেন এবং সন্তানকে জড়িয়ে ধরলেন। এ সময় বার বার আল্লাহকে ডাকছেন এবং আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জানাচ্ছেন তিনি। ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে জীবন পাওয়া আনোয়ারা বেগম বাগেরহাটের গারফা গ্রামের তাহিম মোল্লার স্ত্রী ।
মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে ইমাদ পরিবহনের বাস খাদে পড়ে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়িটি বেশ দ্রুতগতিতে চলছিল। কিছুক্ষণ পরেই পদ্মাসেতু। এমন আলোচনা করছিল যাত্রীরা। হঠাৎ করেই গাড়িটি রাস্তা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে যাচ্ছিল। ওই সময়ে শুধু সন্তানকে জড়িয়ে রেখেছিলাম। ’
তিনি বলেন, বাগেরহাটের মোল্লার হাট থেকে ভোর ৬টায় গাড়িতে উঠি। ঢাকার ধানমণ্ডি বড় বোনের বাসায় যাচ্ছিলাম। দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার মুহূর্তে মনে হয় জ্ঞান ছিল না। গাড়ির মধ্য থেকে কে বা কারা বের করে আনছে তা মনে নেই। এখনো স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে।
আনোয়ারা বেগমের ছেলে শিশু সাজ্জাদ বলে, আমি কিছুই বুঝতে পারি নাই। মায়ের কোলে ছিলাম।
এদিকে খবর পেয়ে আনোয়ারার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন। এখন আর ঢাকায় বোনের বাসায় যাবেন না, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাবেন বলে জানান তিনি।
আকাশজমিন/এসআর