আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সোমবার (২০ মার্চ) কৃষ্ণ সাগরীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার কালিবার ক্ষেপণাস্ত্রের বড় একটি চালানে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন। ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রেলপথে পরিবহন করা হয়েছিল। মস্কো বলছে, ড্রোনের মাধ্যমে হামলা আক্রমণ করা হয়েছে। মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উত্তরে বিস্ফোরণের ফলে রেলপথে পরিবহন করা রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের কথা জানায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে উপদ্বীপের ঝানকোই শহরের রুশ-নিযুক্ত প্রধান বলেছেন, ড্রোন দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছে। কীভাবে ক্ষেপণাস্ত্রের চালানে হামলা চালানো হয়েছে বা কারা করেছে, এ নিয়ে বরাবরের মতোই স্পষ্ট করেনি ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১৪ সালের পর ক্রিমিয়ায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের বহরে এটাই প্রথম শক্তিশালী হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ক্রিমিয়া দখল করে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে রাশিয়া। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া আবারও ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করেছে। পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনীও। ক্রিমিয়া ভূখণ্ডকে পুনরুদ্ধারে প্রতিজ্ঞা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গত বছর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে বিচ্ছিন্ন হামলার ঘটনা ঘটছে। যদিও এসব হামলার কোনটির দায় স্বীকার করেনি কিয়েভ। ২০২২ সালে ক্রিমিয়ার কার্চ সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় ইউক্রেনকে দায়ী করেন পুতিন। সোমবার বিবৃতিতে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এমন বিস্ফোরণে রাশিয়াকে নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে এবং ইউক্রেনীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে দিয়েছে। কিয়েভের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার নৌ বহরের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার প্রশাসক ইহোর এভিন বলেন, ৩৩ বছর বয়সী এক লোক ড্রোনের আঘাতে আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ক্রিমিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আইভিন বলেন, ড্রোন হামলায় একাধিক ভবনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
আকাশজমিন/আরজে