রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভারতে পালানোর সময় যুগ্ম সচিব আটক জমি নিয়ে বিরোধে ভাইয়ের হাতে খুন হলেন বোন-ভাবি অবশেষে বাড়ছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বকে গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া নান্দাইল উপজেলা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের ১০ম বার্ষিক সভা ও নির্বাচন দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, মন্দির ত্যাগের পর হাতাহাতি কবি সংঘ বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আধার ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শেরপুরে আন্ত:জেলা গরুচোর চাক্রের -৩, মাদক সহ গ্রেফতার  -২

এবার দুবাইয়ে আরাভ খানের খোঁজে পুলিশ

আকাশজমিন রিপোর্ট:
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২১ মার্চ, ২০২৩ ১:২৪ pm

অনলাইন রিপোর্টার

দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ছিঁচকে চুরি থেকে হত্যা-গুম-ধর্ষণসহ প্রায় সব ধরনের অপরাধেই হাত পাকিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোল ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যায়বিচার চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খোলা চিঠি দিয়েছেন আরাভ খান। এসব কিছুর মধ্যেই আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফেরাতে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। জানা গেছে, পুলিশ হত্যা মামলার আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রেড নোটিশ গ্রহণ করেছে ইন্টারপোল। এ বিষয়ে সোমবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পুলিশ হত্যা মামলায় যে নামে চার্জশিট হয়েছে, সেই নামে রেড নোটিশ জারির জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। খবর এসেছে, ইন্টারপোল এটি গ্রহণ করেছে। এখন বাকি কাজ তারা করবে। নোটিশ অবশ্য ‘আরাভ খান’ নামে হবে না। পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় এ আসামির যে নাম আছে, সেই ‘রবিউল ইসলামের’ নামে নোটিশ জারি করতেই পাঠানো হয়েছে চিঠি। সোমবার বিকেল পর্যন্ত ইন্টারপোলের রেড নোটিশের তালিকায় বাংলাদেশের ৬২ জনের নাম পাওয়া যায়। সেখানে আরাভ খান বা রবিউল ইসলাম নামে কেউ নেই। ইন্টারপোলের আট ধরনের নোটিশের মধ্যে রেড নোটিশ জারির অর্থ হলো ওই ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও বিচার বিভাগ বিচারের মুখোমুখি করতে অথবা দণ্ড কার্যকর করার জন্য খুঁজছে। আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্ক ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এদিন আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আরাভ খানের সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন সাবেক কোনো কর্মকর্তার সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত সময়ে আমরা তা আপনাদের জানাব। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরাভ খানের অর্থের জোগানদাতা হিসেবে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের নাম উঠে আসে। এরপর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সাবেক এই পুলিশপ্রধান জানান, ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয় নামে আমি কাউকে চিনি না।’ এদিকে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের পর ফেসবুক রাইভে আসেন আরাভ খান। গতকাল সোমবার রাতে ‘খোলা চিঠি বাংলাদেশ’ শিরোনামে ফেসবুকে আরাভ লিখেছেন, ‘খোলা চিঠি বাংলাদেশ, আসসালামু আলাইকুম। আমি আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সর্বদাই আমার দোয়া থাকবে আপনাদের ওপর। আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি বাঁচি আর না বাঁচি এ কথা আমার মনে থাকবে। জানি না আমার জীবনে আমি জেনে না জেনে যে ভুলগুলো করেছি, আপনারা যারা আমার পাড়া-প্রতিবেশী এবং আমাকে যারা চেনেন, যাদের সঙ্গে আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তারা আমাকে মাফ করে দেবেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে মাফ করে দেবেন। আমি জানি না কাল আমার সঙ্গে কী হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায়বিচার, সেটা হয়তোবা সম্ভব না। যাই হোক, আল্লাহ একজন আছে। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।’
সম্প্রতি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ও চলচ্চিত্র তারকাদের আমন্ত্রণ জানান আরাভ খান। এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে জানা যায় এই আরাভ খান ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখা-এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি। তার প্রকৃত নাম রবিউল ইসলাম ওরফে আপন ওরফে হৃদয় ওরফে সোহাগ। মামলার পরপর তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়ে আরাভ খান নামে পাসপোর্ট তৈরি করেন। ভারতেও তিনি দুই হাজার টাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন। হঠাৎ করেই গত কয়েক বছরে তিনি দুবাই গিয়ে অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট কেনাসহ বিশাল বড় স্বর্ণের দোকান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, প্রলোভনে ফেলে টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রের সদস্য ছিলেন আরাভ খান। ২০১৮ সালের ৭ জুলাই বনানীর বাসায় এসবি কর্মকর্তা মামুনকে ডেকে নিয়ে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করেন। পরে গাজীপুরের একটি জঙ্গলে নিয়ে মরদেহটি পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে ভারতে চলে যান আরাভ। সেখানে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেন। তা দিয়েই পাড়ি জমান দুবাইয়ে। দুবাই গিয়ে জড়িয়ে পড়েন স্বর্ণ চোরাচালানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
আর্কাইভ
© All rights reserved © Akashjomin

Developer Design Host BD