আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা: তিন দিনের ভাড়ী বর্ষণে আমতলী উপজেলার তরমুজ চাষীরা বিপাকে পরেছেন। পানিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে তরমুজ গাছ ও ফলন পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার এ বছর ৬ হাজার ২’শ ৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। গাছের বেশ ফলন ধরেছে। অনেক ক্ষেতের তরমুজ বড় হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কাটার উপযোগী হয়েছে। কিন্তু গত তিন দিনের ভাড়ী বর্ষণে তরমুজ চাষিরা মহাবিপাকে পরেছে। বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষকরা ক্ষেতের পানি নিস্কাশনের প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বৃষ্টি আরো দুই একদিন স্থায়ীত্ব হলে তরমুজ গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছ ও ফলন পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান কৃষক আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার। এতে কৃষকরা মহাদুশ্চিন্তায় পরেছে। গাছ ও তরমুজ পঁচে গেলে উপজেলার চাষীদের অন্তত কয়েকশত কোটি টাকার লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পথে বসে যাবে হাজার হাজার কৃষক।
মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, বৃষ্টির পানিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। কৃষকরা পানি নিস্কাশনে কাজ করছেন। তারা ক্ষেতের বেড কেটে দিয়েছেন।
উপজেলার চুনাখালী গ্রামের কৃষক আনসার মাদবর বলেন, ১৭ কানি জমিতে তরমুজ দিয়েছি। বৃষ্টির পানিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। তিনি আরো বলেন, এ এলাকায় তরমুজ বেশ ভালো হয়েছিল। বর্তমান অবস্থায় এলাকার শত শত কৃষকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোনাখালী গ্রামের কৃষক বারেক গাজী বলেন, ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিস্কাশন করেও পারছি না। বৃষ্টি আরো হলে ব্যপক ক্ষতি হবে।
টেপুরা গ্রামের কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, আল্লাহ ফলন ভালোই দিয়েছিল কিন্তু বৃষ্টিতে কি হয় জানিনা? তিনি আরো বলেন পানি সেচ দিতে ক্ষেত মেশিন লাগিয়েছি। বৃষ্টি আরো হলে গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছ পঁচে যাবে।
কৃষক হানিফ হাওলাদার বলেন, গত দুই দিনের বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলের বৃষ্টিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আল্লাই ভালো জানেন কি হয়? এ রকম ভাড়ী বৃষ্টি হলে গাছ ও ফলন পচে যাবে। চাষীদের পথে বসেত হবে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। কৃষকদের ক্ষেতের পানি নিস্কাশনের পরামর্শ দিয়েছে।
আকাশজমিন/এসআর