আকাশজমিন ডেস্ক: পবিত্র রমজান সামনে রেখে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ ও সব ধরনের মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার ছুটি শুরু হচ্ছে। ঈদেরও এক সপ্তাহ পর ২৭ এপ্রিল খুলবে এসব প্রতিষ্ঠান। কিন্তু প্রাথমিক স্তরের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ১৫ রোজা পর্যন্ত যেতে হবে স্কুলে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রোজার শুরু থেকেই ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। অভিভাবকদের একটি অংশও এমন প্রত্যাশা করে আসছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় ছুটি নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় ৬ এপ্রিল বা ১৪ রোজা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ৬ এপ্রিলের মধ্যে সাপ্তাহিক ছুটি এবং মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি আছে। সবমিলে ৯টি দিন ক্লাস নিতে হবে শিক্ষকদের। করোনাকালে প্রায় ৩ বছর তাদের বসিয়ে বেতন দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের যে শিখন ঘাটতি হয়েছে, তা পূরণের সামান্য চেষ্টার অংশ হচ্ছে ১৪ রোজা পর্যন্ত ক্লাস চালু রাখা। আশা করব, শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিষয়টি উপলব্ধি করবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার যে ছুটি শুরু হবে, ঈদুল ফিতরেরও এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত মোট ৩৬ দিন ছুটি থাকবে। এই সময়ের মধ্যে রোজাসহ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ইস্টার সানডে, বৈসাবী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনুরূপ সামাজিক উৎসব, বাংলা নববর্ষ, শবেকদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর এবং গ্রীষ্মকালীন অবকাশের ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকছে। কলেজ ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও আজ ছুটি শুরু হচ্ছে। তবে মাদ্রাসায় রোজার ছুটি শুরু হয়েছে বুধবার। আর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ছুটি ঘোষণা করা হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ রোজা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম চালু থাকবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছেন, বছরের শুরুতেই ছুটির তালিকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। ওই সূচি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমজানের শুরু থেকেই বন্ধ থাকবে।
আকাশজমিন/এসআর