আকাশজমিন ডেস্ক
ফ্রান্সে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পথে নেমেছে দেশটির প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এতে আহত হয়েছে পুলিশের প্রায় ৫০০ সদস্য। এ পর্যন্ত আটক করা হয়েছে ৪ শতাধিক বিক্ষোভকারীকে। এমন সহিংসতার মুখে দেশটিতে সফর স্থগিত করেছেন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লস। আগামী রোববার প্যারিস এবং বোর্দোতে যাওয়ার কথা ছিল ব্রিটিশ রাজার। এ দুটি শহরেই গতকাল বৃহস্পতিবার অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দপ্তর এলিসি প্যালেস শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার আবারও রাস্তায় নামার হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর এ বিষয়টি বিবেচনা করে রাজা তৃতীয় চার্লসের সফর স্থগিত করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এবং রাজা শুক্রবার সকালে ফোনে কথা বলেন। এ ফোন কলের পর ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য সরকার এ সিদ্ধান্ত (সফর বাতিল) নিয়েছে। মহামান্যকে (তৃতীয় চার্লসকে) আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সঙ্গে মেলে এমন সময় স্বাগতম জানানো হবে। এই রাষ্ট্রীয় সফরটির দিন ও তারিখ যত দ্রুত সম্ভব আবারও পুনঃনির্ধারিত হবে।’ টানা কয়েকদিন বিক্ষোভ চলমান থাকায় ব্রিটিশ রাজার প্যারিস সফর নিয়ে শঙ্কা ছিল। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা দাবি করছিলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী সফর হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফরটি স্থগিত করতে হলো। গত বছর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যাওয়ার পর সিংহাসনে বসেন তার ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস। রাজভার গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে ফ্রান্সকে বেঁছে নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে দুই সপ্তাহ আগে ফ্রান্সের বর্তমান সরকার পেনশনের বয়সসীমা ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করে। এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হন দেশটির সাধারণ মানুষ। তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের দাবি, নতুন বয়সসীমার নিয়ম প্রত্যাহার করতে হবে। তবে বুধবার এক টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের এ বিক্ষোভ বৈধ। কিন্তু সরকার পেনশনের বয়সসীমা নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আকাশজমিন/আরজে