অনলাইন রিপোর্টার
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে একটু কমতির দিকে। তবে কদিন এমন থাকে সেটাই চিন্তার বিষয়। দীর্ঘ সময় বিশ্ববাজার স্থিতিশীল থাকলেই দেশে জ্বালানির দাম কমতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এমন মন্তব্য করেছেন। ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম নির্ভর করে জ্বালানির ওপর। আমরা দেশে খুব অল্প পরিমাণ জ্বালানি উৎপাদন করি। আমরা জ্বালানির জন্য আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভরশীল। দামটা স্থিতিশীল না হলে ভবিষ্যতে এটি কী হবে না-হবে বলা কঠিন। আমি মনে করি, যুদ্ধ বন্ধ না হলে দাম কমানো সম্ভব না। দাম একবারে বেশি পরিমাণে বাড়লে মানুষের সমস্যা হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিছু দিন আগে ডলারের বাজার কিছু্টা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশ এখন ডলার সংকট কাটিয়ে উঠছে। জ্বালানি আমদানিতে এখন আর তেমন সমস্যা হচ্ছে না।’ গভীর সমুদ্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধান প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘কনকো ফিলিপস চলে গেল দামের ইস্যু তুলে। আমরা পসকো দাইয়ু ডেকে এনেছি। এখন এক্সন মবিল আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমার মনে হয় ওরা কৌশলগত কারণে আসতে চায়। এ বছরের মধ্যে কিছু একটা হতে পারে।’ খনি এলাকার মাটিকে উর্বর উল্লেখ করে বলেন, ‘সরকার বিষয়গুলো বিবেচনা করছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সরকার কয়লা নীতি চূড়ান্ত করার আদেশ দিয়েছে। জ্বালানি বিভাগ ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক করে খসড়া চূড়ান্ত করেছে বলে জ্বালানি বিভাগের একটি বৈঠকের কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো আছি। সাউথ আফ্রিকা, বিটেনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তাদের তুলনায় ভালো আছি।’এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান, ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ।
আকাশজমিন/আরজে