আকাশজমিন ডেস্ক।। মুক্তিযুদ্ধের মাসে পুরস্কৃত হল ‘নকশী কাঁথার জমিন’। ভারতের বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কৃত হল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র নকশি কাঁথার জমিন। টিএম ফিল্মস প্রযোজিত সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন আকরাম খান। গত ২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া চলচ্চিত্রের এ আন্তর্জাতিক উৎসবের এশিয়ান কম্পিটিশন বিভাগে ১৪টি চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে ‘নকশীকাঁথার জমিন’ ও ‘ভিরাটাপুরা ভিরাগি’। উৎসবে প্রথম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয়েছে ‘বিফর, নাও এন্ড দেন’ এবং ‘মাদারলেস’৷ দ্বিতীয় স্থানে আছে চলচ্চিত্র ‘স্যান্ড’ ।
তথ্যটি নিশ্চিত করে নির্মাতা আকরাম খান বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত দেশ বিদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছবির সঙ্গে লড়াই করে এ পুরস্কার অর্জন করায়। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগছে মুক্তিযুদ্ধের মাসে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এ চলচ্চিত্রের সাফল্যের পেছনে চলচ্চিত্রটির কলাকুশলী অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিএম ফিল্মসের দারুণ অবদান রয়েছে। আমি আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি দায়বদ্ধতার সাথে কাজ করতে পারবো।”
এর আগে ৫৩তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ায় (আইএফএফআই) আইসিএফটি-ইউনেস্কো গান্ধী মেডেলের জন্য মনোনীত হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনে ‘নকশিকাঁথার জমিন’। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের গল্প ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে এ সিনেমায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলির কথা তুলে এনেছেন নির্মাতা। এতে দুই বোনের চরিত্রে জয়া আহসান ও সেঁওতি; দুই ভাইয়ের চরিত্রে ইরেশ যাকের ও রওনক হাসানকে দেখা যাবে। গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্রে আছেন দুই ভাই দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টিএম ফিল্মস জানায়, চলচ্চিত্রটি কিছু আন্তর্জাতিক উৎসব ঘুরে তবেই দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
এদিকে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন ‘চমৎকার একটা আনন্দের সংবাদ দিচ্ছি আপনাদের!এ আনন্দ যেমন আমাদের সবার, তেমনি আমাদের দেশেরও! ১৪তম ব্যাঙ্গালুরু ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভেলের এশিয়ান কমপিটিশানে, বিখ্যাত সব সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতায় ছিল, জীবন ঘনিষ্ঠ নির্মাতা আকরাম খানের নির্দেশনায় নির্মিত অনুদানের সিনেমা‘নকঁশী কাঁথার জমিন’। ইন্টারন্যাশনাল এসব সিনেমার সাথে প্রতিযোগিতা করে নকঁশী কাঁথার জমিন’ সিনেমাটি তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। এর আগে সিনেমাটি ইউনেস্কো গান্ধী এ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল!
আকাশজমিন/এসএ