ৎআকাশজমিন ডেস্ক
অস্ত্রের বিনিময়ে খাদ্যের প্রস্তাব দিতে উত্তর কোরিয়ায় রাশিয়া প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বলে দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে যে কোনও অস্ত্র চুক্তি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের স্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে রাশিয়ান সামরিক বাহিনী এবং রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়েগনার গ্রুপকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তোলে। তবে পিয়ংইয়ং এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিরবি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি চুক্তি সম্পর্কে নতুন তথ্য রয়েছে।’তিনি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি, উত্তর কোরিয়ায় একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে চাইছে রাশিয়া। যুদ্ধাস্ত্রের বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে খাবার সবরাহ করতে যাচ্ছে মস্কো।’নিরাপত্তা মুখপাত্র বলেন, ‘পরিস্থিতি এবং কথিত চুক্তি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।’উত্তর কোরিয়া বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝিতে বিধ্বংসী দুর্ভিক্ষসহ কয়েক দশক ধরে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য ঘাটতিতে আছে কিম জন উনের দেশ। ফেব্রুয়ারিতে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন যে উত্তর কোরিয়ায় বিশ্বের অন্যতম স্বৈরাচারী সরকার রয়েছে। খাদ্য উৎপাদন উল্লেখযোগ্যহারে কমে যাওয়ার কারণে দেশটি গুরুতর খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এ ছাড়া বৈরি আবহাওয়া, কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাবও পড়েছে খাদ্যের ওপর।
দক্ষিণ কোরিয়া কর্তৃপক্ষের স্যাটেলাইট চিত্রগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ১৮০,০০০ টন কম খাদ্য উত্পাদন করেছে পিয়ংইয়ং। এর আগে বৃহস্পতিবার রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দালাল হিসেবে কাজ করার দায়ে একটি আলাদা মামলায় স্লোভাকিয়ান এক ব্যক্তিকে কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন ট্রেজারি। ট্রেজারি বলছে, ৫৬ বছর বয়সী অ্যাশট মারটিচেভ চুক্তিগুলো সংগঠিত করেছিলেন। এতে উত্তর কোরিয়া ২০২২ সালের শেষের দিকে এবং ২০২৩ সালের শুরুর দিকে রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠাতে সক্ষম হবে। বিনিময়ে নগদ অর্থ, বাণিজ্যিক বিমান, পণ্য এবং কাঁচামাল পাবে পিয়ংইয়ং। সূত্র: বিবিসি
আকাশজমিন/আরজে