রেজাউল করিম ঝন্টু, তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ):
রমজানে বেড়েছে বেলের চাহিদা বেড়েছে, কারণ বেলের শরবত স্বাস্থ্যসম্মত, শরীর ঠান্ডা রাখে এবং শক্তি জোগায়। চাহিদা বাড়ার কারনে ব্যবসায়ীরা ফলটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। অনেকটা বাধ্য হয়েই ক্রেতারা আগুন দামে কিনছেন ফলটি। মহিষলুটি বাজারে ও বিভিন্ন এলাকায় ফলের বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। সরেজমিন দেখা যায়, নওগাঁ বাজারে কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে বেল! প্রতি কেজি বেলের দাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। মহিষলুটি রাস্তার পাশে বেল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩০ থেকে ১৬০ টাকায়। আবার মান্নানগর মোড়ে হালি হিসাবে বেল বিক্রি হচ্ছে। যার প্রতি হালি ৩৫০ টাকা। এর পাশে অন্যান্য দোকানে বিক্রি হচ্ছে একটু ছোট সাইজের, হালিপ্রতি ১২০-১৫০ টাকা। রমজানে চাহিদা বাড়ে এজাতীয় সকল ফলের দামই বেশ চড়া। আকারভেদে বাঙ্গি প্রতি পিস ৯০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আরও একটি জনপ্রিয় ফল তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। এছাড়া প্রতি কেজি পেঁপে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা প্রতি কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে আঙুরের কেজি ২৪০ থেকে ২৯০, আপেলের দাম কেজি প্রতি ২৪০ থেকে ২৬৯ টাকা। দেশি চম্পা কলার ডজন ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাড়াশে মো রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘কেজিদরে বিক্রি হওয়ায় একটা মাঝারি সাইজের তরমুজের দাম দাঁড়াচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বড়গুলোর দাম আরো বেশি। বর্তমান বাজারে একটা ছোট তরমুজ কিনতে গেলেও ১৫০ থেকে ২০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। পেঁপে রমজানের আগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন তা ১০০টাকা কেজি। ’ লুৎফর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে অনেক ফল কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। আজ বেল কিনতে এসে আশ্চর্য হয়েছি। একটি বেলের দাম ১২০-১৫০ টাকা।’ মহিষলুটি ভ্রাম্যমাণ ফল ব্যবসায়ী মো. মুরাদ বলেন, ‘আমরা যে দামে কিনি, তার থেকে কিছু লাভে বিক্রি করি। বেল ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করলে আমার কিছু লাভ হবে। তবে আমাদেরও বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে। আড়তে বড় সাইজের বেলের দাম বেশি।’রমজান উপলক্ষে যেসব ফল বেশি বিক্রি হয়, মূলত সেসব ফলের দামই চড়া। বিদেশি ফল আপেল, আঙুর তো বটেই, বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে বেল, পেয়ারা, আনারস, তরমুজ, পেঁপের মতো দেশি ফলও। কৃষি বিপণন আইনানুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রেবিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবেই কিনবে, সেভাবে বেচতে হবে। কিন্তু ফলের বাজারে এ আইনের প্রয়োগ নেই বললেই চলে।
আকাশজমিন/আরজে