রাজশাহী সংবাদদাতা:
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদসহ বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১ এপ্রিল) বিকালে বিএনপির পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশ বলছে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে। তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু দাবি করেছেন, তারা বিএনপির ২০ নেতাকর্মীর সন্ধান পাচ্ছেন না। ধারণা করছেন, পুলিশ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করছে না। এ ছাড়া পুলিশের হামলায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালসহ রাজশাহীর চারটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিএনপি নেতা মিনু আহতদের নাম ও পরিচয় দিতে পারেননি। এদিকে আটকরা হলেন- জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর হোসেন, চারঘাট লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান মৃধা, চারঘাট শলুয়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক শিক্ষক এমদাদুল হক, যুবদল সদস্য বাঘা উপজেলার হরিরামপুর এলাকার স্বপন, যুবদল সদস্য উপজেলার রামরামা গ্রামের মনির মণ্ডল ও গোদাগাড়ী উপজেলার ছাত্রদল সদস্য আমিনুল ইসলাম। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ও আবু সাঈদের ব্যক্তিগত সহকারী শামীম সরকার দাবি করেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে নগরীর সাগরপাড়া থেকে বাটার মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি গণকপাড়ায় এসে বাটার মোড়ের দিকে ঘুরছিল। এ সময় পুলিশ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। মিছিলের সামনে থাকা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চাঁদসহ মোট সাত জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির নেতাকর্মীরা আহত হন।সাথেও বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া জোনের উপকমিশনার আরেফিন জুয়েল বলেন, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির জন্য ভুবন মোহন পার্কে অবস্থানের অনুমতি ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা সেটি না করে বাটার মোড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলেন। এ কারণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক চাঁদসহ সাত জনকে আটক করা হয়েছে।
আকাশজমিন/আরজে