ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দেওয়ায় টেন মিনিট স্কুলসহ যেসব স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ পাবেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান, যারা আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন; তাদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়েছে। তাদের বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময়টাতে। খুবই স্বৈরতান্ত্রিকভাবে কাজটি করা হয়েছিল, ওই সময় যিনি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন; তিনি এটা করিয়েছেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছি। দ্রুত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে এবং সরকারের সঙ্গে কাজ করার যে প্রক্রিয়ায় তারা ছিলেন, সেটা পুনরায় চালু করা হবে। বিনিয়োগ দেওয়া হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ব্যাকগ্রাউন্ড, বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আজকে আলোচনা করেছি। আমি আমার জায়গা থেকে কথা বলেছি। আমি বলেছি, আমাদের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট যেটি রয়েছে, তার যে ধারাগুলো নিয়ে সমস্যা ও আপত্তি রয়েছে, সেই ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, সার্বিকভাবে কাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বলছি আমরা, এটা সব মন্ত্রণালয়ে। এখানেও সেটা করা হবে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে অবস্থান, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি। তরুণদের ব্যাপকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে যুক্ত করতে হবে। দেশ ও দেশের বাইরে যারা আইটিতে দক্ষ ও আগ্রহী, তাদের নিয়ে স্পেশাল টিম গঠনের কথাও ভাবছি আমরা। শুধু আইটি সেক্টরে নয়, বিদেশে যেসব তরুণ পড়াশোনা করছেন, তাদের ফিরিয়ে এনে দেশ গঠনের কাজে যুক্ত করা হবে। এ বিষয়গুলো নিয়ে সামগ্রিকভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
ইন্টারনেট সেবা বন্ধ নিয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে, সেটার অগ্রগতি ও কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেবো। যেহেতু ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছি, প্রাথমিক একটা তদন্ত হবে। তারপর হয়তো অধিকতর তদন্ত করতে হবে। বিস্তারিতভাবে সেটা জানার এবং করণীয় ঠিক করার প্রয়োজন পড়লে সেটাও করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তাতে (তদন্ত প্রতিবেদনে) যদি তৎকালীন সরকারের লোক, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বা অন্য কোনো সংস্থার লোকজনও জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্যই বিচার করা হবে। অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া মানবাধিকারের বিষয়। এটা অবশ্যই নিশ্চিত করা জরুরি। যারা ইন্টারনেট বন্ধ করেছিলেন, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। ইন্টারনেট বন্ধ করে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। অবশ্যই এটার বিচার করা হবে।
ডিআজ/এসকে