আকাশজমিন ডেস্ক
ইরানে দীর্ঘ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সত্ত্বেও হিজাব আইন কার্যকর রাখার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সরকার। বিধিনিষেধ অবসানের দাবিতে কয়েক মাস বিক্ষোভের পর এই সিদ্ধান্ত আসে। বিবিসির খবরে বলা হয়, কট্টরপন্থি এক ইরানি এমপি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নারীদের মাথার স্কার্ফের নিয়ম লঙ্ঘন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তেহরানে গ্রেফতার হন ২২ বছরের কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি। পুলিশি হেফাজতে কয়েকদিন পর মাহসার মৃত্যু হয়। তরুণীর পরিবারের দাবি, পুলিশের নির্যাতনে মাহসার মৃত্যু হয়। তবে পুলিশ বলছে, আগের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন আমিনি। সেদিন থেকেই ইরানজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে। বিক্ষোভ দমাতে কঠোর অবস্থান নেয় ইরানের পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে। তাদের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর করেছে ইরান সরকার। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চলতি সপ্তাহে জানায়, হিজাব ইস্যুতে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে বলা হয়, হিজাব ইসলামি আইনের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হিসেবেই থাকবে। বিচার বিভাগের প্রধান গোলামহোসেন মোহসেনি-ইজেই বলেন, ‘যেসব নারী মাথা ঢেকে রাখেন না তাদের প্রতি কোনও দয়া দেখানো হবে না। বিচার করা হবে তাদের।’ কট্টরপন্থি এমপি হোসেন আলী হাজী ডেলিগানি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচার বিভাগ এ ধরনের ব্যবস্থা না দিলে সংসদ সদস্যরা আইনগত শূন্যতা পূরণে একটি বিল উত্থাপন করবেন।’ সূত্র: বিবিসি
আকাশজমিন/আরজে