আকাশজমিন ডেস্ক
ভোর ৬টার দিকে আগুন লাগে রাজধানীর বঙ্গবাজারে। দুপুর ১২:৪৫ টা পর্যন্ত ৭ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল। যোগ দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টিম। পুলিশ ও র্যাব আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল ও উৎসুক জনতার ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনের তীব্রতা দেখে অনেকে দিশাহারা হয়ে গেছেন। আহাজারি করতে করতে চারদিকে ছোটটাছুটি করছে ব্যবসায়ীরা। ঘটনাস্থল ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে আছে, আগুনের তাপ বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে অনেক দূর।এমন আগুন জীবনেও দেখেননি জানিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বঙ্গবাজার টিনশেড মার্কেটের আর এস ফ্যাশনের মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, আমার দোকানের সব পুড়ে শেষ। আমি এমন আগুন জীবনেও দেখিনি। কীভাবে কী হয়ে গেলো! তিনি ফোনে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছেন আর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।তিনি বলেন, আমার দোকান-গুদামঘর সব শেষ হয়ে গেছে। ১৫ লাখ টাকার মাল আছে। চার লাখ টাকা ক্যাশ ছিল দোকানে।বঙ্গবাজারে ইসলামিয়া সুপার মার্কেটে ছয়টি দোকান রয়েছে ব্যবসায়ী সিদ্দিক হাসান তুহিনের। শুধু একটি দোকানেই ৮০ লাখ টাকার মালামাল রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমার দোকানগুলো থেকে একটি সুতাও বের করতে পারিনি। ভোর রাতে খেয়ে ঘুমেছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত এসে এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখি। ৩২ জন কর্মচারীর আমার দোকানে কাজ করে। ঈদের আগে এতো বড় বিপদ আমাদের জন্য আসলো।ঘটনাস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা বিজিবি সদস্য সুলতান বলেন, এতো বড় আগুন কীভাবে লেগে গেলো! এমন আগুন ঢাকায় আমিও দেখিনি। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা বলেন, ২০ বছর আগে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। এর পর এতো বড় আগুন আর দেখা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলছে, আশপাশের বৈদ্যুতিক লাইনগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। আগুন যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য ফায়ার সার্ভিসের লেডার গাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। এটি দিয়ে উপর থেকে পানি নিক্ষেপ করা সম্ভব হবে। এই লেডার দিয়ে পানি নিক্ষেপ করা হচ্ছে। আর ধোয়ার কারণে কিছুটা কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
আকাশজমিন/আরজে