সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন

ফ্রিতে স্মার্টফোনের স্টোরেজ বাড়াবেন যেভাবে

আকাশজমিন রিপোর্ট:
  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:১৫ pm

বর্তমানে অধিক অ্যাপ ব্যবহার করার কারণে স্মার্টফোনে বরাদ্দ স্টোরেজ দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায়। এর প্রভাবে পুরো ফোন স্লো কাজ করে কিংবা হ্যাং হয়ে যায়। স্মার্টফোনের বয়স যত বাড়তে থাকে, ফাইল বা পুরোনো অ্যাপস মুছে ফেলার চাপ তত বেড়ে যায়। ফোনের সীমিত স্টোরেজ একটি সাধারণ সমস্যা। এর ফলে ডিভাইসে নতুন অ্যাপ ও ফাইল রাখার জায়গা পাওয়া যায় না।
নিয়মিত ফোন রিস্টার্ট করুন: ফোন রিস্টার্ট করলে অস্থায়ী ফাইল এবং সিস্টেম ক্যাশ মুছে যায় যা সাধারণ চোখে দৃশ্যমান নয়। তবে এটি সিস্টেমকে রিফ্রেশ করতে সাহায্য করে ও কিছুটা স্টোরেজ খালি করে।
গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ইমেইল করুন: গুরুত্বপূর্ণ নোট ও ছবি আপনার ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিন। এটি আপনার ফাইলগুলো নিরাপদ রাখে এবং ফোনের স্টোরেজ খালি করে। স্থান মুক্ত করে।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস আনইনস্টল করুন: আপনি যেসব অ্যাপ নিয়মিত ব্যবহার করেন না, সেগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ স্টোরেজ দখল করতে পারে। এসব অ্যাড মুছে ফেলে স্টোরেজ খালি করা যায়। স্টোরেজ খালি হলে ডিভাইসটি গতি বাড়ে। তাই নিয়মিত অ্যাপগুলো পর্যালোচনা করুন এবং অপ্রয়োজনীয় অ্যাপসগুলো আনইনস্টল করুন।
ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলুন: অ্যাপগুলো ব্যবহারের সময় কিছু ক্যাশ ডেটা ফোনে জমে যায়, যা স্টোরেজ দখল করে। ফোনের স্টোরেজ বাড়ানোর ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলা একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। এটি করার জন্য ফোনের সেটিংসে যান এবং ‘স্টোরেজ’ বা ‘অ্যাপস’ বিভাগে প্রবেশ করুন। সেখানে প্রতিটি অ্যাপের ক্যাশ ফাইল মুছে ফেলার অপশন দেখতে পাবেন। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হারানো ছাড়াই ফোনের স্টোরেজ বাড়ানো যাবে।
ছবি ও ভিডিও ব্যবস্থাপনা করুন: উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ও ভিডিও দ্রুত আপনার স্টোরেজ পূর্ণ করে ফেলে। সেগুলো ক্লাউড স্টোরেজ বা বাহ্যিক ড্রাইভে স্থানান্তর করুন। সেই সঙ্গে গ্যালারি থেকে ডুপ্লিকেট বা এক ধরনের ছবিগুলো মুছে ফেলুন।
স্টোরেজ অপটিমাইজেশন সেটিংস ব্যবহার করুন: অনেক ফোনেই স্টোরেজ অপটিমাইজেশনের ডিফল্ট ফিচার থাকে। এসব সেটিংস চালু করুন যেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইল পরিচালনা করে, অস্থায়ী ফাইল মুছে দেয় এবং স্টোরেজ খালি করে ফোনের গতি বাড়িয়ে দেয়।
ক্লাউড সেবা ব্যবহার করুন: ক্লাউড স্টোরেজ এর মাধ্যমে ফোন থেকে ফাইল গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সরিয়ে স্টোরজ খালি করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে যে কোনো ডিভাইস থেকে ফাইলগুলো অ্যাকসেস করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো নিয়মিত ক্লাউড সার্ভিসে ব্যাকআপ রাখুন এবং ডিভাইস থেকে সেগুলো মুছে ফেলুন।
অ্যাপের লাইট সংস্করণ ব্যবহার করুন: বিভিন্ন অ্যাপের ‘লাইট’ (যেমন: ফেসবুক ও মেসেঞ্জার) সংস্করণ রয়েছে, যা কম জায়গা দখল করে। যেসব প্রয়োজনীয় অ্যাপের হালকা সংস্করণ রয়েছে সেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে ফোনের স্টোরজ কম পূর্ণ হয়।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইল ডাউনলোড বন্ধ করুন: সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন অ্যাপ থেকে অনেক সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফাইল ডাউনলোড হয়। বিশেষ করে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের ছবি ভিডিও গ্যালারিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভ হয়ে থাকে। । এসব ফাইল ডিভাইস স্টোরেজের অনেক জায়গা দখল করে। এসব অ্যাপের সেটিংসে গিয়ে ফটোজ ও মিডিয়া থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোডের অপশন বন্ধ করে দিতে হবে।

ফাইল ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন: বিভিন্ন ফাইল ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ ফোনের স্টোরেজ বিশ্লেষণ করে এবং অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো খুঁজে করে সেগুলো দ্রুত মুছে ফেলতে সাহায্য করে। যেমন: ফাইলস বাই গুগল।
এক্সটারনাল হার্ডড্রাইভ ব্যবহার করুন: যেসব ফাইল ফোনে রাখার প্রয়োজন নেই, সেগুলো আলাদা একটি হার্ডড্রাইভে স্থানান্তর করুন।
আকাশজমিন/আরআর

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
আর্কাইভ
© All rights reserved © Akashjomin

Developer Design Host BD