আকাশজমিন ডেস্ক
কখন যে তিনি কী বেশে দেখা দেবেন, তা আগে থেকে অনুমান করা দুঃসাধ্য। উরফি নিজেও যে চমকাতে ভালবাসেন। কখনও নতুন সাজের ভিডিয়ো দেন নিজেই। এ বার চলে গেলেন জঙ্গলে। এ বার আর রাস্তায় নয়, জঙ্গলে দেখা দিলেন উরফি জাভেদ। চোখের তারা ধূসর। মুখের সামনে বুনো ঘাস। দুষ্টুমি ভরা হাসিমুখ ঠেকিয়ে রেখেছেন কাঁধে। সেখানেও ঘাস! নিমেষে বুঁদ করে ফেললেন অনুরাগীদের। তাঁর সদ্য পোস্ট করা ভিডিয়োতে বন্য ইশারা।উরফির পরনে নীল ব্লেজ়ার। ভিতরে জংলা ছাপ অন্তর্বাস। চমক ব্লেজ়ারেও। কাপড় নয়, বুনো ঘাসের তাপ্পি দেওয়া সেই পোশাক। ব্লেজ়ার বুকের কাছে টেনে ধরলেন উরফি। ক্যামেরা দূরে সরতে দেখা যায়, উরফির পরনে সেই একই উজ্জ্বল নীল রঙের প্যান্ট। তবে বাঁ দিকের পায়ে প্যান্টের উপরই চাপানো ঘাসের পুরু পায়জামা। এক দিকে ঘাস আছে, আর এক দিকে নেই। হাতে মানানসই নীল নেলপালিশ। হঠাৎ উরফির এমন ময়ূরনীল বেশ দেখে অবাক অনুরাগীরাও।
কখন যে তিনি কী বেশে দেখা দেবেন, তা আগে থেকে অনুমান করা দুঃসাধ্য। উরফি নিজেও যে চমকাতে ভালবাসেন। কখনও নতুন সাজের ভিডিয়ো দেন নিজেই। আবার কখনও সেজেগুজে রাস্তায় বেরিয়ে আলোকচিত্রীদের কাছে ধরা দেন। উরফির কথায়, “আমি না থাকলে তোমরা খবরে দেখাবে কী?” সাংবাদিকদের সঙ্গে মজাদার কথোপকথনেও সাড়া ফেলেন উরফি। আবার স্বল্প পোশাকে বিতর্কেও আসেন। বিতর্কের অবশ্য পরোয়া করেন না মডেল-তারকা। বেশ কয়েক বছর অভিনয় করেছেন ধারাবাহিকে। সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করে চালিয়ে গিয়েছেন ব্যক্তিগত ফ্যাশন-নিরীক্ষা। এক জামা কেটেই বানিয়ে ফেলেছেন নতুন পোশাক। উরফির মতে, বুদ্ধি থাকলেই উপায় হয়, উদ্ভাবনে লাগে না অর্থ।
আকাশজমিন/আরজে