আকাশজমিন ডেস্ক
চীনের কড়া হুঁশিয়ারির মধ্যেও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। ক্যালিফোর্নিয়ার রোনাল্ড রিগ্যান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরিতে গত বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাইপেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ওয়াশিংটন। তিন দশকের বেশি সময় পর প্রথম কোনো শীর্ষস্থানীয় মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করলেন। খবর আলজাজিরার। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসেন তাঁরা। এ সময় ওয়েন বলেন, তাঁর দেশের গণতন্ত্র হুমকির মুখে। তিনি তাইওয়ানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থন চান। এর জবাবে তাইপেকে ওয়াশিংটন সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন ম্যাকার্থি। এর আগে বৈঠকে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টকে আমেরিকার অন্যতম বন্ধু বলে আখ্যা দেন মার্কিন স্পিকার। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও শান্তি বজায় রাখতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপরও জোর দেন তিনি। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ঐক্য প্রয়োজন উল্লেখ করে ওয়েন বলেন, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান একসঙ্গে থাকে, তখন দুই দেশই আরও শক্তিশালী হয়। এই বৈঠকে ক্ষুব্ধ হয়েছে চীন। এ ব্যাপারে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বেইজিং। চীনের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স অফিসের মুখপাত্র ঝু-ফেংলিয়ান বেইজিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রে ওয়েনের এই ট্রানজিট মূলত মার্কিন কর্মকর্তা এবং আইন প্রণেতাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। তিনি যদি মার্কিন হাউসের স্পিকার ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন, তাহলে তা হবে আরেকটি উস্কানি। কারণ, এই ধরনের বৈঠক এক-চীন নীতির চরমভাবে লঙ্ঘন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি, যা তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে।ৎ এদিকে, এই সফর খুবই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একে ইস্যু করে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় মনে করে দেশটি।
আকাশজমিন/আরজে