আকাশজমিন ডেস্ক
তিস্তা নদীতে নতুন দুটি খাল খনন নিয়ে ভারতের কাছে তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারত এখনো সেই চিঠির জবাব দেয়নি। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এ তথ্য জানিয়েছেন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অভিন্ন নদী তিস্তায় নতুন দুটি খাল খননের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে। তাদের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে তথ্য চেয়ে ভারতের কাছে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে চিঠি পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তিস্তার পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে দুটি খাল খননের বিষয়ে জানতে চেয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া কূটনৈতিক পত্রের (নোট ভারবাল) জবাব এখনো দেয়নি ভারত।
ঘুসের বিনিময়ে অবৈধ ভিসা বাণিজ্যের ঘটনায় সম্প্রতি সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের গ্রেফতারের প্রশ্নে সেহেলী সাবরীন বলেন, ভিসা বাণিজ্যে আট বাংলাদেশির মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গেছে। ইস্যুটি সৌদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় রয়েছে। সৌদি আরব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো এ ব্যাপারে কোনো তথ্য আসেনি।
র্যাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে জার্মানির ডয়চে ভেলে এবং সুইডেনভিত্তিক নেত্র নিউজের যৌথ প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ডয়চে ভেলে যে প্রতিবেদন করেছে, সেটা সম্পর্কে ইতোমধ্যে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গত তেসরা এপ্রিল আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এ নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, র্যাব দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য র্যাবকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।
সেহেলী সাবরীন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ ভূরাজনীতির প্রতি দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।
এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকার ব্যাখ্যা দিয়ে সেহেলী সাবরীন বলেন, যখনই জাতিসংঘে সুনির্দিষ্ট দেশভিত্তিক ভোট হয়, তখন বাংলাদেশ সাধারণত ভোটদানে বিরত থাকে। যেহেতু ইউক্রেন ও রাশিয়ার বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল, সেজন্য প্রস্তাবে কী আছে, সেটা পরীক্ষা করে, তার ব্যাপারে মতামত জানানো হয়ে থাকে।
ট্রাম্পের গ্রেফতার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বিষয়টি তাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) আদালতে বিচারাধীন। আমার মনে হয়, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের মন্তব্য করা সমীচীন হবে না।
আকাশজমিন/আরজে