আকাশজমিন ডেস্কঃ
পবিত্র রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে ইবাদতরত ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরব লিগ। বুধবার ওই হামলার বিষয়ে জরুরি বৈঠকে মিলিত হয় ২২ আরব দেশের সংস্থাটি। বৈঠক শেষে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা আল-আকসা মসজিদে অসহায় মুসল্লিদের ওপর দখলদার সেনাদের অপরাধযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থাপনাগুলোর ওপর দখলদার ইহুদিবাদী সরকারের যেকোনো সহিংস আচরণ ও হামলার নিন্দা জানাই। আরব লিগের বিবৃতিতে ওই হামলাকে জাতিসংঘ ঘোষণা, আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এই হামলায় বিশ্বের প্রতিটি স্থানের বিশ্বাসী মানুষদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। আর এ ধরনের হামলা বন্ধ করা না গেলে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিপদগ্রস্ত হবে বলে আরব লিগের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। আরব লিগের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হোসাম জাকি আলজাজিরাকে বলেছেন, (পবিত্র আল আকসা মসজিদে চলমান ঘটনার) দায় আমরা সম্পূর্ণভাবে ইসরাইলি সরকারের বলে মনে করছি। ইসরাইল যা করছে তা প্রকাশ করতে আমরা রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এটা এমন নয় যে আল আকসা মসজিদে হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর কাছ থেকে আমাদের আর একটি অজুহাত দরকার। তাদের অজুহাত কখনই ফুরিয়ে যায় না। তারা সবসময় আপনাকে বলে, সেখানে যুবকদের ব্যারিকেডিং, বন্দুক সংগ্রহ করা ইত্যাদি আছে। আমরা এটা অনেকবার শুনেছি। এ মুহূর্তে এটি প্রায় অপ্রাসঙ্গিক। ইসরাইলে এখন এমন একটি সরকার রয়েছে, যারা ফিলিস্তিনি জনগণের ক্ষতি করতে উদ্যত।সএদিকে মুসলমানদের প্রথম কিবলা মসজিদুল আকসায় ইবাদতরত ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, এই হামলায় তেল আবিব সরকারের মানবতাবিরোধী চরিত্র আরেকবার বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি তার অফিসিয়াল টুইটার পেজে এরকম একটি ভিডিও শেয়ার করে দখলদার সেনাদের ওই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত কয়েক ডজন ইসরাইলি সেনা আল-আকসা মসজিদে হানা দেয়। এ সময় নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধসহ কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি পবিত্র রমজান মাসে রাত জেগে আল্লাহ তায়ালার ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন। তাদের অনেকেই ছিলেন ইতিকাফরত। ইসরাইলি সেনারা প্রথমে টিয়ারগ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে করতে আল-আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করে। এরপর তারা আতঙ্কিত মুসল্লিদের বন্দুকের বাট ও বাটন দিয়ে বেদম প্রহার করে এবং আহত অবস্থায় বহু মুসল্লিকে আটক করে।
আকাশজমিন/আরজে