রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন

তুষার ঝড়ে কানাডায় কয়েক লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন

আকাশজমিন রিপোর্ট:
  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ২:১১ pm

আকাশজমিন ডেস্কঃ
তুষার ঝড়ের দুই দিন পর শুক্রবার কানাডার পূর্বাঞ্চলের কয়েক লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। ভয়াবহ ওই দুর্যোগে তিন ব্যক্তির প্রাণহানী ও ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বিশেষ করে মন্ট্রিয়েলে ব্যাপক সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে।
কুইবেকের প্রায় ৪৬০,০০০ বাড়ি বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে অন্ধকারে ছিল।
বিদ্যুৎ সরবরাহকারী হাইড্রো-কিউবেক জানিয়েছে, বিভ্রাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
ইউটিলিটি কোম্পানিটি আরো বলেছে,‘আমাদের দলগুলো কঠোর পরিশ্রম করছে এবং আমরা নিশ্চিত যে দিনের শেষ নাগাদ আরও ২০০,০০০ গ্রাহক বিদ্যুৎ ফিরে পাবে। হাইড্রো-কিউবেকের মুখপাত্র রেজিস টেলিয়ার বলেছেন, কিছু বাড়ি রবিবার বা সোমবার পর্যন্ত বিদুৎবিহীন থাকবে। তিনি বলেন, অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারকে ত্বরান্বিত করবে।
কুইবেকের রাজ্য প্রধান ফ্রাঁসো লেগল্ট বলেছেন, মন্ট্রিয়েলের প্রায় ৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে তৃতীয় একজনের মৃত্যু হয়। তিনি তার ঘরে বারবিকিউ তৈরি করছিলেন, এতে কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার তার মৃত্যু হয়।
বুধবার পূর্ব অন্টারিওর এক বাসিন্দার গাছ চাপা পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভোরে ৬০ বছর বয়সী কুইবেকের এক বাসিন্দা জমি পরিষ্কার করতে গিয়ে গাছের ডাল পড়ে মারা যান।
প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ বিভ্রাটে থাকা মন্ট্রিয়েলে ছয়টি অস্থায়ী জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বাসিন্দারা সেখানে রাত কাটাচ্ছেন।
ঝড়টি কানাডার দুটি সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য কুইবেক ও অন্টারিওকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
মন্ট্রিয়েলের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা পরিবারগুলো উষ্ণ রাখার জন্য ঘরের ভিতরে বারবিকিউ ব্যবহার করায় কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার প্রায় ৬০ টি খবর রেকর্ড করেছেন।
শুক্রবার মন্ট্রিয়েলল নগরীর শত শত কর্মচারী এখনও ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছেন। বিশেষ করে বরফের ভারে ভেঙে পড়া ডাল ও আবর্জনাপূর্ণ পার্কগুলি পরিস্কার করছেন।
প্রায় এক ডিগ্রী সেলসিয়াস (৩৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট) তাপমাত্রায় বরফ গলছে শুরু করেছে। তবে ঝড়ো হাওয়ায় গাছগুলো কাঁপছে। শাখা ভেঙে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে। কর্তৃপক্ষ এখনও মানুষকে বিদ্যুতের লাইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে।
১৯৯৮ সালে কুইবেকে তুষার ঝড়ের পর এ বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই দুর্যোগ রাজ্যটিকে কয়েক সপ্তাহ ধরে বিশৃঙ্খলায় ফেলে। আকাশজমিন/আরজে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
আর্কাইভ
© All rights reserved © Akashjomin

Developer Design Host BD