আকাশজমিন প্রতিবেদক।। এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘জ্বীন’ নামের একটি সিনেমা। যেটি নির্মিত হয়েছে বাস্তব ঘটনার ছায়া অবলম্বনে। মুক্তি উপলক্ষে ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ব্যতিক্রমী প্রচার চালাচ্ছে। এরমধ্যে একটি ঘোষণা দর্শকমনে যথেষ্ট অস্থিরতা তৈরি করেছে। তারা ঘোষণা করেছে কোনও দর্শক ‘জ্বীন’ সিনেমাটি যদি একা একা দেখতে পারে, তাহলে তাকে ১ লাখ টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে। গত শনিবার প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে বার্তাটি দেয়া হয়েছে। তবে পুরস্কারটি পেতে হলে একটি হলে সম্পূর্ণ একা বসে পুরো সিনেমাটি দেখতে হবে; যদি পুরোটা না দেখতে পারেন, তাহলে হল ও অ্যাম্বুলেন্সের (যেটি দুর্ঘটনার আশঙ্কায় জরুরি প্রয়োজনে রাখা হবে) ভাড়া দিতে হবে ঐ দর্শককে!
এমন অভিনব ঘোষণার পর চারদিকে একই প্রশ্ন, শর্ত মেনে সিনেমাটি একাই দেখতে চাই; কিন্তু প্রক্রিয়াটি কী? কারণ এমন প্রস্তাবে সাড়া দেয়ার প্রক্রিয়া উল্লেখ করেনি জাজ মাল্টিমিডিয়া। বিপরীত মন্তব্যও ঘুরছে। অনেকে বলছেন, এমন ঘোষণা প্রচারণার কৌশল মাত্র। ‘জ্বীন’ এমন কোনও ভয়ের ছবি হবে না, যেটা একা বসে দেখা যাবে না। আদতে এমন কোনও প্রতিযোগিতা হবে না।
বিষয়টি প্রসঙ্গে সিনেমার প্রযোজক-পরিবেশক আব্দুল আজিজ বলেন, ‘ঘোষণাটির পর আমরাও দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি, এবং আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করছি, ঘোষণা যেহেতু দিয়েছি আনুষ্ঠানিকতাও হবে। ঘোষণা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ নেই। আমাদের আইটি টিম এই ঘোষণা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। দ্রুতই আমরা পুরো প্রক্রিয়াটি সবাইকে জানাবো, কেমন করে আগ্রহীরা একা এই ছবিটি দেখার চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন। অস্থিরতা বা অনিশ্চয়তার কোনও কারণ নেই।’
আব্দুল আজিজ বলেন, ‘‘৮ এপ্রিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এক ওয়ার্কশপে উপস্থিত ছিলাম। ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা হলো। সেখানে সব ছাত্রের উদ্দেশে ঘোষণা দেয়া হয়, কেউ একা একটি হলে বসে ‘জ্বীন’ সিনেমাটি সম্পূর্ণ দেখতে পারলে তাকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কেউ রাজি হয়নি। সেখান থেকে বেরিয়েই সেই চ্যালেঞ্জটি সব দর্শকের উদ্দেশে ছুঁড়ে দিলাম।’ সঙ্গে জারি করলেন সতর্কতাও- ‘ভয়ের কারণে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে জাজ মাল্টিমিডিয়া বা হল কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।’
নাদের চৌধুরী পরিচালিত ‘জ্বীন’-এর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূজা চেরী। এতে সজলের বিপরীতে আছেন পূজা চেরী। আরও আছেন রোশান-মুন জুটি। নায়িকা পূজা বলেন, সিনেমাটি নাম থেকেই স্পষ্ট এটি আলাদা কনসেপ্টের গল্প। দর্শকরা যার রেশ দেখতে পেয়েছেন আমাদের মোশন পোস্টার থেকে। এটি দেখে আমি নিজেও ভড়কে গিয়েছি। আশা করছি ভালো এবং নতুন কিছু হবে।’ নির্মাতার ভাষ্য এমন, ‘ইসলাম ধর্মে যে জিন-পরীর সম্পর্কে বলা আছে সেটিই মূলত উঠে আসবে এর গল্পে। সিনেমাটি তৈরি হয়েছে গ্রামীণ আবহে। যেখানে জিনকে কেন্দ্র করে অতিপ্রাকৃত ঘটনা তুলে ধরা হবে। এই ধরনের সিনেমা আমাদের এখানে আর হয়নি।’
আকাশজমিন/এসএ