সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১২ পূর্বাহ্ন

বিচারকের পর বগুড়ার সেই প্রধান শিক্ষকও ওএসডি

আকাশজমিন রিপোর্ট:
  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ২:৪১ am

আকাশজমিন ডেস্ক: বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (ভিএম) দুই অভিভাবককে বিচারকের পা ধরতে বাধ্য করার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজকে প্রত্যাহারের পর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষককে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ে ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে বগুড়ার এক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে তার সহপাঠীদের ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনার সূত্রপাত।

শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের অভিযোগ, বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে ভিএম স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্ন করে থাকে। গত ২০ মার্চ ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা ছিল। তবে ওই শিক্ষার্থী নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তার সহপাঠীদের সঙ্গে বিতণ্ডা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই রাতে বিচারকের মেয়ে ফেসবুকে তার সহপাঠীদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেয়। ওই পোস্টে তার চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন পরেরদিন বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ওই চার শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবককে ডেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকি দেন। সেখানে দুই অভিভাবককে পা ধরে তার কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। রাতে জেলা প্রশাসক গিয়ে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হলে গত ২৩ মার্চ ওই বিচারককে বগুড়া থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়। ঢাকায় গিয়ে বিচারক এই ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে একটি লিখিত বিবৃতি দেন। এরপরে তাদের ওই দিনের কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে ওই বিচারককে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ধমক এবং হুমকি দিতে শোনা যায়।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার দিনই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই তদন্ত চলমান অবস্থায় ওএসডি হলেন প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন।

আকাশজমিন/এসআর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
আর্কাইভ
© All rights reserved © Akashjomin

Developer Design Host BD