আকাশজমিন ডেস্কঃ
ইয়েমেনে চলমান নয় বছরের সংঘাত সমাধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হুতি নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সৌদি ও ওমানের প্রতিনিধি দল দেশটির রাজধানী সানায় পৌঁছেছে। ওমানের মধ্যস্থতায় রিয়াদ ও সানার মধ্যে শান্তি আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরান চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সম্মত হওয়ায় ইয়েমেনের শান্তি আলোচনাও গতি পেয়েছে।
ইয়েমেনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সাবা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সানা ও মাস্কাটের মধ্যে যে সংলাপ চলছে তার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য প্রতিনিধি দল শনিবার সানায় পৌঁছেছে। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।
সাবা জানিয়েছে, হুতি সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের প্রধান মাহদি আল-মাশাতের সঙ্গে দুই দেশের বৈরিতার অবসান এবং ইয়েমেনি বন্দরগুলোতে দেওয়া ‘অবরোধ’ তুলে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে।
হুতি নেতা মোহাম্মদ আল-বুকাইতি টুইটারে বলেছেন, সৌদি ও ওমানি কর্মকর্তারা স্থায়ী শান্তির উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন। হুতি ও সৌদি আরবের মধ্যে একটি সম্মানজনক শান্তির বার্তা দেওয়া হবে। যা উভয় পক্ষের জন্যই বিজয় হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। অতীত ভুলে ভবিষ্যতের জন্য শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সব পক্ষকে আহ্বান জানানো হবে। তবে, সৌদি আরব থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আল জাজিরার হাশেম আহেলবারা বলেন, ইয়েমেনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই জটিল। যদিও আলোচনা করলে পথ বের হতে পারে। জাতিসংঘ বেশ কয়েকবার রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য সব পক্ষকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছে। সব পক্ষকে বুঝতে পারা ও তাদের সব সমস্যা সমাধান করা অত্যন্ত কঠিন।
সাবা জানিয়েছে, সৌদি-হুতি আলোচনায় ইয়েমেনের ওপর থেকে সব ধরনের অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে। পাশাপাশি ইয়েমেনের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করা এবং ইয়েমেনের মাটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
ইয়েমেন যুদ্ধকে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রক্সি যুদ্ধের একটি হিসেবে দেখা হয়। ইরানের সঙ্গে জোটবদ্ধ হুতিরা ২০১৪ সালের শেষের দিকে সানা থেকে সৌদি সমর্থিত সরকারের পতন ঘটিয়ে উত্তর ইয়েমেনের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
আকাশজমিন/আরজে