আকাশজমিন প্রতিবেদক।। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠানসুচী সাজিয়েছে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশন। চ্যানেলটির আয়োজনে থাকছে মোট ২২টি নাটক,৭টি সিনেমা, জনপ্রিয় শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান এবং বিশেষ কমেডি শো ফানি মোমেন্টসহ নানা আয়োজন।
বিশেষ সংগীতানুষ্ঠানগুলোর মধ্যে ঈদের ৭দিন সকাল ৮.১৫ মিনিটে প্রচার হবে বৈশাখীর সকালের গান’। লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় অংশ নেবেন খুরশিদ আলম, ফেরদৌ আরা, দেবলিনা সুর,বিন্দু কনা, পুতুল, সাব্বির ও লুইপা।
ঈদের ৭দিন সকাল ১১টায় প্রচার হবে বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান ‘গানে গানে ঈদ আনন্দ’। লিটু সোলায়মানের প্রযোজনায় এ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন কণ্ঠশিল্পী সালমা ও তার দল, লিজা ও তার দল, ফকির শাহাবুদ্দীন ও শাহনাজ বেলী, রাজীব ও আতিয়া আনিসা, শফি মণ্ডল ও জুঁই, আগুন ও অনুপমা মুক্তি এবং অংকন ও খায়রুল ওয়াসী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করবেন আইনুন পুতুল, তাসনুভা মোহনা, ও তমা রসিদ। শাহ্ আলমের প্রযোজনায় এবং চিত্রনায়িকা তানহা তাসনিয়ার উপস্থাপনায় ঈদের ৭ দিন দুপুর ১.০০ টায় প্রচার হবে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় গান নিয়ে অনুষ্ঠান ‘শুধু সিনেমার গান’।
ঈদের দিন দুপুর ১-৩০ মিনিটে প্রচার হবে বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন নাটকে ব্যবহৃত গান নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান নাটকের গান। দুপুর ১২-৩০ মিনিটে প্রচার হবে কমেডি শো ‘ফানি মোমেন্ট’। বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন নাটকের হাস্যরস ও ফান নিয়েই এ অনুষ্ঠান। নাটকের গান ও ফানি মোমেন্ট অনুষ্ঠান দুটি প্রযোজনা করেছেন নিকোলাস হীরা।
ঈদের ৭দিন বেলা ২-৪০ মিনিট থেকে প্রচার হবে ৭টি সিনেমা। ঈদের দিন প্রচার হবে ‘আমার প্রাণের স্বামী’। পি এ কাজলের পরিচালনায় এ ছবিতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, শাবনূর, নিপুন, সাদেক বাচ্চু প্রমুখ। ।ঈদের দ্বিতীয় দিন প্রচার হবে ‘মনের সাথে যুদ্ধ’। অভিনয় করেছেন মান্না, পূর্ণিমা, বাপ্পারাজ প্রমুখ। পরিচালনা আহমেদ নাসির।
ঈদের তৃতীয় দিন প্রচার হবে ‘মানিক রতন দুই ভাই’। কাজী হায়াতের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মারুফ, তমা মির্জা, রেসী, ডিপজল, কাজী হায়াৎ প্রমুখ। ঈদের চতুর্থ দিন রয়েছে ‘প্রেম প্রেম পাগলামি’। সাফিউদ্দিন সাফীর পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন বাপ্পী, আচল, অমিত হাসান, কাজী হায়াৎ, ড্যানি সিডাক প্রমুখ।
ঈদের ৫ম দিন রয়েছে ‘মায়ের জেহাদ’। আবু মুসা দেবুর পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, পূর্ণিমা, ববিতা,রাজ্জাক, রাজীব প্রমুখ। ঈদের ৬ষ্ঠ দিন প্রচার হবে ‘দুই বধূ এক স্বামী’। এফ আই মানিকের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন মান্না, মৌসুমী, শাবনূর প্রমুখ। ঈদের ৭ম দিন প্রচার হবে ‘বিশ্ব প্রেমিক’। অভিনয়ে- রুবেল, মৌসুমী, হুমায়ুন ফরীদি প্রমুখ। পরিচালনা শহিদুল ইসলাম খোকন।
নাটকগুলোর মধ্যে ৮টি একক এবং ৭ পর্বের ৬টি ধারাবাহিক এবং ৮টি মেগা। একক নাটকগুলো প্রচার হবে প্রতিদিন রাত ৮-১০ মিনিটে। এবার ঈদের ৪টি নাটকের গল্প লিখেছেন পুরস্কারপ্রাপ্ত গল্পকার বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। এরমধ্যে একটি একক ও ৩টি ৭ পর্বের ধারাবাহিক। আল হাজেনের পরিচালনায় রাশেদ সীমান্ত, অহনা রহমান অভিনীত ‘জামাই বাজার-৩’, জাহিদ হাসান, নাজিয়া হক অর্ষা অভিনীত ‘দুই জামাই’ ও আল হাজেন পরিচালিত রাশেদ সীমান্ত ও তানজিকা আমিন অভিনীত ‘হাবুর স্কলারশিপ’ এবং একই পরিচালকের পরিচালনায় একক নাটক ‘কন্ট্যাক্ট ম্যারিজ’। দুটি নাটকেরই শুটিং হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। প্রবাসীরা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান শিল্পীরাও অভিনয় করেছেন এ নাটক দুটিতে।
৮টি একক নাটকের মধ্যে মাতিয়া বানু শুকুর রচনায়, মোহাম্মদ রবিউল সিকদারের পরিচালনায় সজল, ভাবনা, শিল্পী সরকার অপু অভিনীত ‘আঁচল’, জান্নাতুল ফেরদৌসের রচনায় শিহাব শাহীনের পরিচালনায় অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিন অভিনীত ‘ত্রিকোনোমিতি’, টিপু আলম মিলনের গল্প ও আল হাজেনের পরিচালনায় ‘কন্ট্যাক্ট ম্যারিজ’। অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, তানজিকা আমিন, মৌসুমী হামিদ, আরফান আহমেদ প্রমুখ।
স্বাধীন শাহ’র রচনায় শামীম জামানের পরিচালনায় ‘কিলার’ নাটকে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, জুঁই করিম প্রমুখ। মেহেদী হাসানের রচনা ও পরিচালনায় ‘খোট’। এ নাটকে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান ও কেয়া পায়েলসহ অনেকে।
ইমরাউল রাফাতের রচনা ও পরিচালনা, জোভান, সামিরা মাহি অভিনীত নাটক ‘বাই মিসটেক, সাকিব রায়হানের রচনা, নাজমুল রনির পরিচালনায় ‘হদয় রক্ত ক্ষরণ’ নাটকে অভিনয় করেছেন অপূর্ব, হিমি ও সৌওমী। সম্রাট জাহাঙ্গীরের রচনা ও পরিচালনায় ঈদের সর্বশেষ একক নাটক ‘জামাই বউ ৪২০’। অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও হিমি।
ঈদের ৬টি ৭ পর্বের ধারাবাহিক হলো হাসান জাহাঙ্গীরের রচনা ও পরিচালনায় ‘সিঁড়ি’। অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, কাজী হায়াৎ, ডন, নিঝুম রুবিনা, হাসান জাহাঙ্গীর, মারুফ আকিব প্রমুখ। টিপু আলম মিলনের গল্পে, আহসান আলমগীরের চিত্রনাট্যে, আল হাজেনের পরিচালনায় ‘জামাই বাজার-৩’। এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, অহনা রহমান, অলিউল হক রুমি, মাহা, শফিক খান দিলু, শেলী আহসান প্রমুখ। মুহিন খানের রচনা ও পরিচালনায় ‘ডেমকেয়ার’। অভিনয় করেছেন আরফান আহমেদ, মিহি আহসান,অলিউল হক রুমী, রাশেদ মামুন অপু, জয়রাজ, রোজী সিদ্দিকী, বড়দা মিঠু প্রমুখ। টিপু আল মিলনের গল্পে, জাকির হোসেন উজ্জলের চিত্রনাট্যে, হানিফ খানের পরিচালনায় ৭ পর্বের অপর ধারাবাহিক ‘দুই জামাই’। এ নাটকে অভিনয় করেছেন- জাহিদ হাসান, ড. এজাজ, বড়দা মিঠু, তারিক স্বপন, নাজিয়া হক অর্ষা, নাবিলা ইসলাম প্রমুখ। টিপু আলম মিলনের গল্পে অপর নাটক ‘হাবুর স্কলারশিপ’। সুবাতা রাহিক জারিফার চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। এতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, তানজিকা আমিন, অলিউল হক রুমি, শফিক খান দিলু, মাহা প্রমুখ। রাশিদুর রহমানের রচনায়, আনিসুর রহমান রাজীবের পরিচালনায় ‘ভণ্ড প্রেমিক’। অভিনয় করেছেন পাভেল, শাকিলা পারভিন, শহীদুল্লাহ সবুজ, জীবন রায় প্রমুখ।
ঈদ অনুষ্ঠানমালায় প্রতিদিন রাত ১১.৩৫ মিনিট থেকে প্রচার হবে ৮টি মেগা নাটক। নাটকগুলো হলো-হানিফ খানের পরিচালনায় জাহিদ হাসান, নাবিলা ইসলাম, সাজু খাদেম, আরফান আহমেদ অভিনীত ‘বুড়া জামাই’, সাজিন আহমেদ বাবুর পরিচালনায় ‘কিড সোরায়মান’। অভিনয় করেছেন-মোশাররফ করিম, মোনালিসা, ফারুক আহমেদ, মিলন ভট্ট,মুনিরা মিঠু প্রমুখ, ফরিদুল হাসানের পরিচালনায় ‘হোটেল ফাইভ স্টার’। অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত, অহনা রহমান, অলিউল হক রুমি প্রমুখ। ফজলুর রহমান ও চন্দন চৌধুরী পরিচালিত ‘চাল্লু মামার পাল্লু ভাগ্নে’। অভিনয় করেছেন-চঞ্চল চৌধুরী, নিসা, শাহনাজ খুশি, ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ। তারিক মুহাম্মদ হাসানের পরিচালনায়, তারিন জাহান, শহীদুজ্জামান সেলিম, শামীম ভিস্তি অভিনীত নাটক ‘রূপকথা। হাসান জাহাঙ্গীরের পরিচালনায় ‘বডিগার্ড’। অভিনয় করেছেন- অমিত হাসান, ডন, আঁচল, হাসান জাহাঙ্গীর প্রমুখ। মীর সাব্বির, নাদিয়া, হান্নান শেলী, ফারজানা রিক্তা, আবদুল্লাহ রানা অভিনীত, ফজলুল হকের পরিচালনায় নাটক ‘সৌদি জামাই বিদায় রজনী’। আহমেদ রোহান রুবেলের পরিচালনায় ঈদের সর্বশেষ মেগানাটক ‘বাগান বাড়ি’। অভিনয় করেছেন-জাহিদ হাসান, নাদিয়া নদী, সঞ্চিতা দত্ত, জাহিদ হোসেন শোভন, আরফান আহমেদ প্রমুখ।
ঈদ আয়োজন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন বলেন, বিনোদনপ্রিয় মানুষকে কিছুটা বিনোদন দেয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন। বৈশাখী টেলিভিশনের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে দর্শকদের বিনোদন দেওয়া। কতটুকু সফল হতে পারব সে বিচারের ভার বৈশাখী টেলিভিশনের দর্শকদের, যাদের ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণায় আমাদের এগিয়ে চলা। সবশেষে বৈশাখী টিভির শুভানুধায়ী, বিজ্ঞাপনদাতা, কেবল অপারেটরসহ অগনিত দর্শককে জানাই ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
আকাশজমিন/এসএ