আকাশজমিন ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা নথি নিয়ে মুখ খুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির পক্ষ থেকে তথাকথিত ফাঁস হওয়া নথিতে দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ আলোচনার যে দাবি করা হয়েছে তা ‘অসত্য’ এবং ‘বানোয়াট’। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। সম্প্রতি অনলাইনে কিছু মার্কিন নথি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় এক মাস পুরনো এসব নথি ইউক্রেনের রুশবিরোধী পাল্টা আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পরিকল্পনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি মিত্র দেশের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির কয়েকটি মিত্র দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হয়েছে।
ফাঁস হওয়া নথিগুলোর একটিতে কোনও নির্দিষ্ট তারিখের উল্লেখ নেই। এতে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়েওল ও তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের কথিত অভ্যন্তরীণ আলোচনার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেনের জন্য কামানের গোলা সরবরাহে সিউলের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে ওয়াশিংটন। সিউল যদি ইউক্রেনে সরবরাহের জন্য গোলাবারুদ পাঠায় তাহলে সেটি হবে দেশটির দীর্ঘদিনের একটি নীতির লঙ্ঘন। এই নীতি অনুসারে যুদ্ধে লিপ্ত কোনও দেশে অস্ত্র রফতানি করে না দক্ষিণ কোরিয়া।
নথিতে উল্লেখিত তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে প্রমাণ হবে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ একটি মিত্র দেশের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছে, সিউলের ওপর নজরদারির দাবি একেবারে মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতার ভাঙন ধরানোর যেকোন প্রচেষ্টা জাতীয় স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করবে। মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ফাঁস হওয়া নথি বানোয়াট বলে আলোচনায় উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছেন। তবে নথির কোন অংশটি সত্য নয় তা সম্পর্কে কোনও ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, অস্টিনের অনুরোধে এই ফোনালাপ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি
আকাশজমিন/আরজে