আকাশজমিন প্রতিবেদক।। বাংলা বর্ষে চৈত্রের শেষ আর বৈশাখের শুরু। বাঙালির সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব পালিত হয় এই দিন দুটিকে ঘিরে। গ্রাম বাংলার আনা-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে বছর শেষ ও নতুন বর্ষ বরণের এইসব নানান আয়োজন। বাংলা বর্ষের সর্বাধিক উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে চৈত্র সংক্রান্তি গ্রামীণ রীতিতে যার আয়োজনেও রয়েছে বৈচিত্র্য। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে বাঙালি কিংবা বাংলার মানুষ এই দিনকে কেন্দ্র করে উৎসব পালন করে থাকে- চৈত্র সংক্রান্তির দিনে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে এককালে শাকান্ন পালিত হতো, এছাড়াও শিবের গাজন, গম্ভীরা পূজা, চৈত্র সংক্রান্তি লোকজ নীল পূজা, নীল উৎসব, চৈত্র সংক্রান্তির লোকজ চড়ক পূজা, চৈত্র সংক্রান্তির লোকজ নামাজ, তালতলার শিরনি, শরবতসহ নানা লোকজ উৎসব। কখনো ধর্মীয় বিশ্বাস, কখনো আবহমান বাংলার ঐতিহ্য আর লোকায়িত উৎসবের ধ্বনি পাওয়া যায় এই চৈত্র সংক্রান্তির দিনটিকে ঘিরে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তিতে থাকছে বর্ষ বিদায়ের নানা পরিবেশনা। শুরুতেই পরিবেশিত হবে সরোদ বাদন, পরিবেশনায় থাকছেন শিল্পী ইলমা ফুলঝুৃরি ও শিল্পী ইসরি ফুলঝুরি, অর্কেস্ট্রা পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি অর্কেস্ট্রা দল। বর্ণিল সাংস্কৃতিক এ আয়োজনের মাঝে বর্ষ বিদায়ের সূচনা বক্তব্য রাখবেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান।
এরপর থাকবে নাটকের গানের কম্পোজিশন পরিবেশনা। লোক নাট্যদলের পরিবেশনায় থাকবে: সোনাই মাধব, মেটোপথের পরিবেশনায় ‘মলুয়া’, পদাতিক নাট্য সংসদের পরিবেশনায় ‘গুণজান বিবির পালা’। বর্ষ বিদায়ের বক্তব্য রাখবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। নৃত্য গীতের পুরো আয়োজনে থাকবে বাঙালি সংস্কৃতির নানা পরিবেশনা পুরাতন বর্ষকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে আহ্বানের বন্দনা। এরপর একাডেমির নৃত্যদলের পরিবেশনায় ধামাইল নৃত্য ‘বাইজ্জো নারে শ্যামের বাঁশি’ পরিবেশিত হবে। নাটকের গানের কম্পোজিশনে থাকছে সুবচন নাট্য সংসদের পরিবেশনায় ‘মহাজনের নাও’, শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের পরিবেশেনায় ‘চম্পাবতী’, নাট্যধারার পরিবেশনায় ‘আয়না বিবির পালা।’। এরপর বর্ষ বিদায়ের সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ জনাব লিয়াকত আলী লাকী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যদলের পরিবেশনায় ‘বিপুল তরঙ্গ রে’ , ‘এসো হে বৈশাখ’। শেষে রাফ্রেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
আকাশজমিন/এসএ