নরসিংদী প্রতিনিধি
পুলিশ ভ্যানে তুলার সময় জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় শেখ হাসিনার নামে শ্লোগান নরসিংদীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার ( ৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাদের নরসিংদী সদর মডেল থানা থেকে একটি পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় তারা বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
থানায় পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় তারা হাত নাড়িয়ে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসবে’, শেখ শেখ শেখ মুজিব, লও লও লও সালাম, জয় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ’ ইত্যাদি শ্লোগান প্রদান করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার আশ্রাবপুর গির্জাপাড়া গ্রামের আবদুল হাই এর ছেলে শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাজায়েল ভূঁইয়া রয়েল (২৫), পলাশ উপজেলার ছোট তারগাও গ্রামের কাদির আকন্দের ছেলে জিনারদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি তারেক আকন্দ (২৮), একই উপজেলার সোকান্দরদি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩০), গড়পাড়া গ্রামের জামালের ছেলে পলাশ শিল্পাঞ্চল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান (২৫), কাজীরচর গ্রামের মৃত আখতারুজ্জামানের ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোঃ রাজু মিয়া (৩১), শিবপুর উপজেলার গির্জাপাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে শিবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ফরহাদ আফ্রাদ(১৮), মনোহরদী পৌরসভার চন্দনবাড়ি গ্রামের রাজু মোল্লার ছেলে মনোহরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জাহিদ মোল্লা (২৪), নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর পাঁচদোনা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মাধবদী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন মনির (২৮) ও পলাশ উপজেলার জয়নগর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম(২৬)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ একটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন এলাকায় একটি হাইয়েস গাড়ি আটক করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক জানান, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ব্যানার, ফ্যাস্টুন এবং লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তারা কি কারণে এগুলো নিয়ে আসছিল সে ব্যাপারে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।